এবার কিংসের পয়েন্টও কেড়ে নিলো রহমতগঞ্জ

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএলে শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে হার মানেনি পুরানো ঢাকার দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি -বাফুফে
জায়ান্ট কিলার হিসেবে সুখ্যাতি আছে পুরানো ঢাকার দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। কিন্তু চলতি মৌসুমে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিল না দলটি। তবে লিগের শেষ দিকে এসে যেনো স্বরূপে ফিরেছে। গত রাউন্ডে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করেছিল পুরানো ঢাকার দলটি। শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তারা গোলশূণ্য (০-০) ড্র করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে। একই দিনে ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ফর্টিস এফসি ২-১ গোলে হারায় পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে। এই জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে আসলো ফর্টিস। মুন্সিগঞ্জে ম্যাচের ৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বসুন্ধরার ফরোয়ার্ড রিমন হোসেনের ডান পায়ের শট চলে যায় বারের সামান্য ওপর দিয়ে। পরের মিনিটে বা প্রান্ত থেকে উজবেক ডিফেন্ডার ববুর বেগের দূর পালস্নার শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৫ মিনিটে রহমতগঞ্জের ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল কনির শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রহমতগঞ্জের সুশান্ত ত্রিপুরার স্পট কিক সরাসরি গ্রিপ করেন কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ২২ মিনিটে দূর থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল দামাসেনার মাটি কামড়ানো শট গ্রিপ করতে তেমন বেগ পোহাতে হয়নি রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক মামুন আলিফের। ২৫ মিনিটে কিংসের চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ শট নেন কনি। কিন্তু জিকোকে পরাস্ত করতে পারেননি। ২৬ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ঘানার ফরোয়ার্ড আরনেস্ট বুয়াটেংয়ের আচমকা জোড়ালো শট আটকে দেন জিকো। যদিও বল প্রথমে তার হাত ফস্কে গিয়েছিল। তবে নিজেকে সামলে নিয়ে দ্রম্নতই বলের নিয়ন্ত্রণ নেন এই গোলরক্ষক। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৪৭ মিনিটে) বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন মিগুয়েল দামাসেনা। বল পেয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের কোনাকোনি শট নেন সজীব। তবে বল সাইড নেটেড হয়। পরের মিনিটে বা প্রান্ত থেকে মিগুয়েলের স্পট কিকে ছোট বক্সের কাছে বল পেয়ে হেড নেন ববুরবেগ। তবে বল জালে জড়ায়নি। ৫৫ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্তে অরক্ষিত ছিলেন রহমতগঞ্জের রকি। সুযোগ পেয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে শটও নিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য দক্ষতার সঙ্গেই বল ফিস্ট করেন জিকো। ৫৭ মিনিটে মাঠের ডান প্রান্ত থেকে উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার আসরর গফুরভের স্পট কিক শুয়ে পড়ে গ্রিপ করেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক। ৬১ মিনিটে বক্সের কয়েকগজ দূর থেকে ববুরবেগের ফ্রি কিক রহমতগঞ্জের রক্ষণ দেয়াল টপকালেও গিয়ে পড়ে গোলরক্ষকের হাতে। ৬৯ মিনিটে বসুন্ধরার বদলি খেলোয়াড় শেখ মোরসালিন ডান পায়ে যে জোড়ালো শটটি নেন সেটি ক্রসপিচ ঘেষে জালের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৭১ মিনিটে কিংসের মজিবর রহমান জনির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭১ মিনিটে রহমতগঞ্জের নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়। ডান প্রান্ত থেকে মোস্তফা খারাবার পাসে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন বুয়াটেং। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের বাধাতে স্বাভাবিক শটটি নিতে পারেননি। না হলে এগিয়েই যেতে পারত রহমতগঞ্জ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য গোলশূন্যই থেকেছে ম্যাচ। অন্যদিকে ময়মনসিংহে মুখোমুখি হয় পুলিশ-ফর্টিস। প্রথম পর্বে পুলিশকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ফর্টিস এফসি। তাই শুক্রবার লিগে দ্বিতীয় দেখার ম্যাচটি পুলিশের জন্য ছিল প্রতিশোধের। কিন্তু ম্যাচের ২২ মিনিটে নয়ন মিয়ার জোগান দেয়া বল নিয়ে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পা ওমর বাবুর গোলে লিড নেয় ফর্টিস এফসি (১-০)। প্রথমার্ধে সেই গোলটি শোধ করতে পারেনি পুলিশ। তাই এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে গেছে ফর্টিস। ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। সাজেদ হাসানের পাস থেকে গোল করেন ইউক্রেনের মিডফিল্ডার ভ্যালেরী। (২-০)। ইনজুরি টাইমে (৯০+৩ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে পুলিশের প্যালাসিওস গোল পেলেও সেটি শান্তনারই হয়ে থেকেছে (২-১)।