অপরাজেয় লেভারকুজেনকে থামিয়ে চ্যাম্পিয়ন আটালান্টা

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
বুন্দেসলিগায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি নিয়ে আটলান্টার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস -ওয়েবসাইট
হারতে ভুলেই গিয়েছিল বায়ার লেভারকুজেন। ৩৬১ দিনে এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, ৫১ ম্যাচে অপরাজিত থাকায় নামও হয়ে যায় নেভারলুজেন! অসাধারণ পথচলায় দারুণ সব রেকর্ড আর বুন্দেসলিগা জয়ের ইতিহাস গড়া লেভারকুজেন আরেকটি শিরোপার হাতছানিতে মাঠে নেমে পথ হারিয়ে ফেলল। উজ্জীবিত আটালান্টা প্রথমার্ধেই করল জোড়া গোল, যে ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারল না লেভারকুজেন। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে নায়ক হয়ে উঠলেন অ্যাডেমোলা লুকম্যান। প্রথমবারের মতো ইউরোপা লিগ জিতল ইতালিয়ান ক্লাবটি। ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামে বুধবার রাতের উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালে ৩-০ গোলে জিতে দীর্ঘ ছয় দশকের শিরোপা খরা কাটিয়েছে আটালান্টা। মৌসুমের শুরু থেকে কোনো ম্যাচে না হেরে, সব মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ইউরোপিয়ান রেকর্ড গড়ে এবং পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগা জয়ের রেকর্ড গড়ে এদিন খেলতে নামে লেভারকুজেন। অনেকের চোখেই তারা ছিল ফেভারিট। কিন্তু, ম্যাচ শুরু হতেই বদলে যেতে থাকে সবকিছু। রক্ষণে বারবার ভুল করতে থাকে লেভারকুজেন। আক্রমণেও তারা ছিল সাদামাটা। তাই বল দখলে এগিয়ে থাকলেও সত্যিকার অর্থে প্রতিপক্ষকে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি দলটি। ম্যাচের আগে আটালান্টা কোচ জান পিয়েরো গাসপেরিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছিলেন, জাবি আলোন্সোর দলকে নিয়ে মোটেও ভীত নন তারা। মাঠেও তাই করে দেখাল তার দল, মেটাল ক্লাবের দীর্ঘসময়ের ক্ষুধা। সেই ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে তুরিনোকে হারিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল তারা। ৬১ বছর পর মিলল দ্বিতীয়র স্বাদ। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য করতে থাকে আটাল্টান্টা। লেভারকুজেন বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, আক্রমণে একদমই সুবিধা করতে পারছিল না তারা। ১২ মিনিটে গোল খেয়ে বসে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। বক্সে ডান দিক থেকে দুইজনের চ্যালেঞ্জের মুখে পাস বাড়ান দাভিদে জাপাকস্তা। ছয় গজ বক্সের বাইরে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় আরেকটু ভালো করা উচিত ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এসেকিয়েল পালাসিওসের, পারেননি তিনি। জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড লুকম্যান। অপ্রতিরোধ্য পথচলায় সম্প্রতি নিজেদের 'নেভারলুজেন' নাম দেওয়া লেভারকুজেন ম্যাচের ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে। নিজেদের সীমানায় পজেশন হারিয়ে ফেলে তারা। বল ধরে বক্সের বাইরে একজনকে কাটিয়ে জায়গা বানিয়ে বুলেট গতির শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লুকম্যান। ৩৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে একরাশ হতাশা উপহার দেন আলেহান্দ্রো গ্রিমাল্‌েদা। গোলরক্ষককে একা পেয়ে দুর্বল শটে তার হাতে বল তুলে দেন তিনি।