নারী দাবাড়ুদের হাঙ্গেরী মিশনের লড়াই শুরু
প্রকাশ | ২১ মে ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
৪২তম জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ চার দাবাড়ু চলতি বছর সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেীরর বুদাপেস্টে দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ মহিলা দাবা দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। দুই বছর পরপর অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব দাবার গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন দাবাড়ুদের উন্নত প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করেছে।
দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম এ বিষয়ে বলেন, 'ফিদের (বিশ্ব দাবা ফেডারেশন) একটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা কাজাখস্তানের একজন গ্র্যান্ডমাস্টারকে পাবো। যিনি এক মাস ঢাকায় এসে নারী-পুরুষ উভয়দলকে অনুশীলন করাবে। গ্র্যান্ডমাস্টারে যাতায়াত ও সম্মানি কাজাখস্তান ফেডারেশন বহন করবে আমরা শুধু তার আবাসন ব্যয় দেব।'
গত বছর উন্মুক্ত জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ হয়নি। এক বছর বিরতির পর এবার জুনে জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর দিনক্ষণ চূড়ান্ত। 'জুনের শেষে দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ হবে। এ জন্য দুটি বাছাই আমরা এর আগেই শুরু করে শেষ করব', বলেন সাধারণ সম্পাদক। উন্মুক্ত জাতীয় দাবায় নারীরা জায়গা করে নিতে পারেন না। জাতীয় মহিলা দাবাড়ু চ্যাম্পিয়ন উন্মুক্ত দাবাড়ু বাছাইয়ে হেরে যান। ফলে উন্মুক্ত জাতীয় দাবায় ১২ জনই পুরুষ দাবাড়ু হন।
জাতীয় মহিলা দাবাতেও রয়েছে বাছাই পর্ব। গত বছর আনুষ্ঠানিক বাছাই টুর্নামেন্ট হলেও এবার লায়লা আলম টুর্নামেন্টকে বাছাই হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফেডারেশন। ওই টুর্নামেন্টের শীর্ষ ৯ নারী দাবাড়ুর সঙ্গে গতবারের জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়ন মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম এবং দেশের দুই মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার রানী হামিদ ও শারমীন সুলতানা শিরিন সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। লায়লা আলম টুর্নামেন্টকে মহিলা বাছাই ধরার কারণ সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'অর্থসংক্রান্ত বিষয় নয়, আসলে আমাদের হাতে সময় কম ছিল তাই আলাদা করে বাছাই টুর্নামেন্ট করা হয়নি। লায়লা বেগম সাবেক দাবাড়ু তিনি দীর্ঘদিন এই টুর্নামেন্টে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন জাতীয় দাবার বাছাই স্বীকৃতি দেয়ায় টুর্নামেন্টের মর্যাদা বেড়েছে। তবে আমরা কমাব না, নারীদের একটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট পরবর্তীতে দিয়ে দেব।'