ইতিহাস গড়ে ম্যানসিটির প্রিমিয়ার লিগ জয়

প্রকাশ | ২১ মে ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ওয়েস্টহ্যামকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে উচ্ছ্বাস করছে ম্যানসিটির খেলোয়াড়রা -ওয়েবসাইট
বছর কয়েক আগেও কারও ভাবনার চৌহদ্দিতে এমন কিছু ছিল কিনা সঃন্দেহ! তা না থাকারই কথা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো দলই যে টানা চার মৌসুম শিরোপা জিততে পারেনি। অবিশ্বাস্য, অভাবনীয় সেই কীর্তি গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দলটির ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন তাই অনুভব করতে পারছেন বিষয়গুলো, কিন্তু প্রকাশের ভাষা যেন জানা নেই তার। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা চার মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যানসিটি। এমন দাপুটে জয়ের ম্যাচের সুর বেঁধে দেন ফোডেন; দ্বিতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর অষ্টাদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণও করেন তিনি। মোহামেদ কুদুসের গোলে ওয়েস্ট হ্যাম ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেয়েছিল বটে, কিন্তু আগ্রাসী সিটি লক্ষ্যেই থাকে ৫৯তম মিনিটে রদ্রি জালের দেখা পেলে। ম্যাচজুড়ে গ্যালারি ছিল উৎসবমুখর। শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে তা উন্মাতাল হয়ে ওঠে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আবেগে, উচ্ছ্বাসে ভাষা হারিয়ে ফেলেন ফোডেনও। 'আমরা আজ যেটা করেছি, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা ভীষণ কঠিন। কোনো দল কখনই এটা (টানা চার লিগ শিরোপা জয়) পারেনি। ইতিহাসের বইয়ে নিজেদের নাম তুলেছি আমরা। আপনারা দেখছেন, এ মুহূর্তে সমর্থকদের কাছে এবং আমাদের খেলোয়াড়, যারা বছরজুড়ে পরিশ্রম করেছে, তাদের কাছে এর অর্থ কী। সমর্থকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা বিশেষ মুহূর্ত এটি।' 'আমি মনে করি, প্রিমিয়ার লিগে টানা চারবার জেতা, যে কাজটি অতীতে কোনো দল কখনই করতে পারেনি, সেটা করতে পারার মানে হচ্ছে, আমরা সেই পর্যায়েই (সর্বকালের সেরা দল) আছি। সত্যি বলতে আমরা স্রেফ নিঃশেষ হয়ে গেছি (আনন্দ প্রকাশের শক্তি হারিয়ে ফেলেছি)!' শেষ রাউন্ডেও ছিল নাটকীয়তা। আর্সেনাল পিছু লেগে ছিল। ফলে কিছুটা স্নায়ু চাপ ছিল পেপ গুার্দিওয়ালার দলের ওপর। লিগ টেবিলেও এই ওঠানামার খেলা চলছিল বেশ কয়েক রাউন্ড ধরে। ফোডেন জানালেন, আগের পরিস্থিতিগুলো স্নায়ুচাপ সামলে নিতে সাহায্য করেছিল। নিজের জোড়া গোল নিয়েও দারুণ তৃপ্ত তিনি। 'কেবল আমি নই, বছরজুড়ে দলের সবাই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো খেলেছে এবং মাঝেমধ্যে এমন স্নায়ু চাপের মুহূর্তের মধ্য দিয়ে গেছে, যেটি আমাদের নিশ্চিতভাবেই স্নায়ুকে সাহায্য করেছে। শেষ পর্যন্ত এর প্রতিদানও পাওয়া হলো।'