শেখ জামালকে রুখে দিল ফর্টিস

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে এবার ভালো সময় যাচ্ছে না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। শনিবার রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ফর্টিসকে হারাতে পারলে পয়েন্ট টেবিলে অন্তত দুই ধাপ এগুতে পারত ধানমন্ডির ক্লাবটি। কিন্তু অসংখ্য গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল করতে পারেনি দুই দলের কেউই। তাই গোলশূন্য (০-০) ড্র'তে শেষ হয়েছে ম্যাচটি। প্রথম পর্বে জামালের বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ নেওয়া না হলেও তাদের পয়েন্ট কেড়ে নিতে পেরেছে ফর্টিস। এক পয়েন্ট যোগ হওয়াতে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থান থেকে সপ্তম স্থানে উঠে এলো জামাল। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে পূর্বের ষষ্ঠ স্থানেই থাকল ফর্টিস। প্রথম পর্বে ফর্টিসকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল শেখ জামাল। তাই শনিবার প্রতিশোধের ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামে ফর্টিস। অন্যদিকে টেবিলে নিজেদের অবস্থানটা আরেকটু ওপরে নিয়ে যেতে জয়ের দরকার ছিল জামালেরও। পুরো ম্যাচে চোখ রাখলে দেখা যায় জামালের থেকে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ফর্টিস। একের পর এক গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেছিল তারা। তবে কাজের কাজটি করতে পারেনি। ম্যাচের ৮ মিনিটে বা প্রান্ত ধরে জামালের বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন ফর্টিসের ইউক্রেনের মিডফিল্ডার ভ্যালেরি। কিন্তু জামালের শক্ত রক্ষণ ভাঙতে পারেননি। ২২ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল পান গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর সার। বক্সে ঢুকে দারুণ শটে জাল লক্ষ্য করে বল পাঠান। তবে তার সেই নিশ্চিত গোলটিই শেষ মুহূর্তে জালে ঢুকে যাওয়ার আগে ক্লিয়ার করেন জামালের এক ডিফেন্ডার। ২৬ মিনিটে বক্সের কাছেই ফ্রি কিক পায় ফর্টিস। ভ্যালেরির বাঁকানো স্পট কিক ফিস্ট করেন জামাল গোলরক্ষক। ৩৮ মিনিটে জামালের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আবদুলস্নাহ বক্সে ঢুকে যে হেডটি নেন সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪২ মিনিটে দারুণ একটা গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ফর্টিসের। বাঁ প্রান্ত থেকে ভ্যালেরি বল বাড়ান বক্সে। গোলরক্ষককে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়েও বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন ফর্টিসের মিডফিল্ডার সাজেদ হাসান জুম্মন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ফর্টিস অধিনায়ক ওমর বাদুর দূরপালস্নার শট রুখে দেন জামাল গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল পায়নি ফর্টিস। শেখ জামালও গোল আদায় করে নিতে পারেনি। তাই গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে গেছে দুই দল। ৫০ মিনিটে বল নিয়ে জামালের বক্সে ঢুকে শট নেন নয়ন মিয়া। কর্নারের বিনিময়ে এ যাত্রা দলকে রক্ষা করেন এসএম মঞ্জুরুর রহমান। ৫১ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ভ্যালেরির শর্ট কর্নারে বল পেয়ে চমৎকার বাঁকানো শট নিয়েছিলেন ওমর বাদু। কিন্তু প্রস্তুত ছিলেন জামালের গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম। তাই কোনো বিপদে পড়তে হয়নি জামালের। ৬২ মিনিটে ওমর বাদু বক্সে জটলায় বল পাঠালেও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি তার সতীর্থ ফুটবলাররা। ৬৮ মিনিটে ফর্টিসের বদলি ফরোয়ার্ড মাজহারুল ইসলাম চেষ্টা করেছিলেন। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের বাধায় পোস্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। ৭২ মিনিটে বক্সের কাছেই ফ্রি কিক পায় ফর্টিস। উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার জাসুর জুমায়েভের শট গোল হতে পারত। কিন্তু ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল গ্রিপ করেন প্রীতম। ৭৫ মিনিটে ওমর বাদুর দূরপালস্নার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৭ মিনিটে ফর্টিসের একটি আক্রমণ রুখে দিতে ব্যর্থ হন জামালের গোলরক্ষক। তবে এক ডিফেন্ডারের কল্যাণে গোল হজম করতে হয়নি। ৭৯ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে ওমর বাদুর নেওয়া শট ছিল নিশ্চিত গোল। তবে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান প্রীতম, শুয়ে পড়ে বল গ্রিপ করেন। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি ফর্টিস-জামালের কেউই। তাই গোলশূন্য ড্র'তেই শেষ হয়েছে ম্যাচটি।