রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
কর্নেলিয়াসের এক হালি গোলে আবাহনীর উৎসব

আবাহনীর বড় জয়ের দিনে মোহামেডানের হতাশার ড্র

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
আবাহনীর বড় জয়ের দিনে মোহামেডানের হতাশার ড্র

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত হয়ে গেছে গত সপ্তাহেই। তবে লিগের রানার্স আপ হওয়ার লড়াইটা এখনো বাকি। কোন দলটি অবনমিত হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নেমে যাবে সেটিও ঠিক হয়নি। শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগে তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রানার্স হওয়ার দৌড়ে থাকা দুই চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডানও নেমেছিল ভিন্ন ম্যাচে। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী তলানির দল ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৭-১ গোলে উৎসবে মাতলে মোহামেডান মাঠ ছেড়েছে হতাশার ড্র নিয়ে।

ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে সাদা-কালোরা ৩-৩ গোলে ড্র করে রহমতগঞ্জের সঙ্গে। ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে শেখ রাসেলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে চট্টগ্রাম আবাহনী।

ময়মনসিংহে ম্যাচ শুরুর মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই লিড নেয় মোহামেডান। বা প্রান্ত থেকে সতীর্থের লম্বা থ্রো ইনে বক্সে বল পেয়ে দারুণ শটে রহমতগঞ্জের জাল কাঁপান মোহামেডানের ফরোয়ার্ড জাফর ইকবাল (১-০)। ৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে বক্সে ক্রস দিয়েছিলেন রহমতগঞ্জের মো. রকি। তবে সেখানে তার কোনো সতীর্থ ছিলেন না বল রিসিভের জন্য। ২০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে মোজাফফারভের কর্নার হেড নিয়েছিলেন সতীর্থ ফুটবলার। তবে কর্নারের বিনিময়ে এ যাত্রা গোল হজমের হাত থেকে দলকে বাঁচান রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাদা-কালোরা। নাইজেরিয়ান ইমানুয়েল সানডে বল পাঠান বক্সে। সেখান থেকে বল বুঝে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোল আদায় করে নেন মোহামেডানের অধিনায়ক মালীর ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে (২-০)।

৩৪ মিনিটে ব্যবধান কিছুটা কমায় রহমতগঞ্জ। বা প্রান্ত থেকে সাইদীর কাটব্যাকে বক্সে বল পান ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড আর্নেস বুয়েটাং। বল নিজের আয়ত্তে নিয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে মোহামেডানের জাল কাঁপিয়ে দেন বুয়েটাং (২-১)। ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন রহমতগঞ্জের ঘানার ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল কনি (২-২)। মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় রহমতগঞ্জ। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে ২-২ গোলের সমতাতেই। ৬৫ মিনিটে মোহামেডানের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নেয় রহমতগঞ্জ। বল নিয়ে সাদা-কালোদের বক্সে ঢুকে পড়েন কনি, যদিও প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডার দু'পাশ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টায় দৌড়েছেন। কিন্তু নাগালই পাননি তারা। দ্রম্নতগতিতে সামনে এগিয়ে গিয়ে বলটা জালে ঠেলে দেন কনি (৩-২)। প্রথমে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া রহমতগঞ্জ এগিয়ে যায়। ইনজুরি টাইমে হেড করে গোল করে মোহামেডানকে সমতায় ফেরান সুলেমান দিয়াবাতে (৩-৩)। এই গোলেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।

অন্যদিকে গোপালগঞ্জে ঢাকা আবাহনীকে ৯ মিনিট আটকে রাখতে পেরেছিল দুর্বল ব্রাদার্স। দশম মিনিটে জনাথন ফার্নান্দেজের জোগান দেওয়া বলে ব্রাদার্সের বক্সে ঢুকে জোড়াল শটে লক্ষ্যভেদ করেন আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়াশিংটন বান্দ্রাও (১-০)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় আবাহনী। ৬৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আকাশি-নীলরা। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে বল পাস করেন স্টুয়ার্ট। চলন্ত বলে পা ছুঁইয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেন ওয়াশিংটন বান্দ্রাও (২-০)। ৭০ মিনিটে বা পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আবাহনীর সেন্ট ভিনসেন্টের ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট ৩-০)। ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান ব্রাদার্স ইউনিয়নের উজবেক ডিফেন্ডার নদীর মাভলনভ (৩-১)। ৮৬ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান রয়েলের বাড়িয়ে দেওয়া বল জালে পাঠিয়ে আবাহনীকে চতুর্থ গোল উপহার দেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট (৪-১)। ৯০ মিনিটে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে দর্শনীয় শটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন কর্নেলিয়াস (৫-১)। ইনজুরি টাইমের শুরুতে (৯০+১) মিনিটে মিরাজ হোসেনের গোলে ৬-১ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। এর কিছুক্ষণ পরই কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট নিজের চতুর্থ গোল করেন (৭-১)। এই গোলেই জয়রথ থামে আবাহনীর।

একই দিন বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পল সেনের গোলে ১১ মিনিটে শেখ রাসেলের বিপক্ষে লিড নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী (১-০)। ৭৩ মিনিটে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার গানিও আতন্দার গোলে ম্যাচে সমতা আনে রাসেল (১-১)। ম্যাচ ও শেষ হয় সমতাতেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে