শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

বসুন্ধরায় স্বপ্নভঙ্গ আবাহনীর

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০
বসুন্ধরায় স্বপ্নভঙ্গ আবাহনীর

বসুন্ধরা কিংসই যেন এখন বড় প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনীর। এবারের মৌসুমে চারবারের দেখাতে একবারও কিংসের বিপক্ষে জিততে পারেনি ঐতিহ্যবাহীরা। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বসুন্ধরার কাছে ৩-০ গোলে হেরে ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আকাশি-নীলদের। ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা। আগামী ২১ মে ফেডারেশন কাপের শিরোপা লড়াইয়ে মোহামেডানের মুখোমুখি হবে কিংসরা।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। যে ম্যাচে হারলেই বিদায়। অথচ এমন ম্যাচেই আবাহনীর রক্ষণে একের পর এক ভুল! সুযোগগুলো লুফে নিলো বসুন্ধরা। তিন গোল আদায় করে ম্যাচটা নিজেদের করে নিল কিংসরা। প্রথম গোল হজমের পরই আবাহনী যেন আশা হারিয়ে ফেলে। ম্যাচের ১০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহোর ক্রস বক্সে পেয়ে গোলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। ১২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জনাথন ফার্নান্দেজের কর্নারে বক্স থেকে হেডে ক্লিয়ার করেন বসুন্ধরার এক ডিফেন্ডার। ১৫ মিনিটে বসুন্ধরার গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়। বক্সের বাইরে ডান প্রান্ত থেকে রাকিব যে শটটি নেন, সেটি গ্রিপ করতে গেলে শহীদুল আলম সোহেলের হাত ফস্কে বল পড়ে যায়। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারতেন তরুণ মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন, তবে বলের দখল নিতে পারেননি। ১৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর মিডফিল্ডার জামাল ভুইয়ার কর্নারে ইরানী ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ সোলেমানী জটলার মধ্যে বল পেয়ে হেড নিলেও বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ২১ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় বসুন্ধরা। ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের বাড়িয়ে দেওয়া বল বা পায়ের পাসে নিজের আয়ত্তে নিয়ে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো (১-০)। গোল করে নিজের দলকে এগিয়ে দেন বসুন্ধরার অধিনায়ক। ৩৩ মিনিটে সমতায় ফেরার একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিল আবাহনী। বা প্রান্ত থেকে সেন্ট ভিনসেন্টের ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের জোড়ালো শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। ৩৭ মিনিটে জনাথনের স্পট কিক ক্লিয়ার করেন বক্সে থাকা কিংস ডিফেন্ডাররা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে অফসাইডের ফাঁদে পড়েন কিংসের ডরিয়েলটন। আবাহনী গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয়। তাই এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বসুন্ধরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বসুন্ধরা। অন্যদিকে আবাহনী যেন আশাই ছেড়ে দিয়েছিল। ৫৬ মিনিটে বক্সের বা প্রান্ত থেকে রিমন ডান পাশে থাকা মিগেলের উদ্দেশ্যে বল বাড়ালেও চলন্ত বলে পা ছুঁয়াতে ব্যর্থ হন মিগেল। ৭২ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে রবসন রবিনহোর ক্রস চলে যায় ডান প্রান্তে। সেখান থেকে রাকিবের ক্রস পোস্টের কাছ থেকে হেডে জালে পাঠান ডরিয়েলটন (২-০)। গোল করে হাতের ইশারায় আবাহনীকে শেষ করে দিয়েছেন- এমন এক উদ্‌যাপন করেন ডরিয়েলটন। আবাহনীর ফুটবলাররাও বুঝতে পারেন এই ম্যাচে হয়ত আর ফেরা সম্ভব নয়। ৭৬ মিনিটে আবাহনীর বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ডরিয়েলটন। তবে তাকে গোল পেতে দেননি আবাহনীর ডিফেন্ডার। ইনজুরি টাইমে আবাহনীর জালে আরও একবার বল পাঠায় বসুন্ধরা। (৯০+৭ মিনিটে) রবসন রবিনহোর ফ্রি কিক ফিরিয়ে দেন শহীদুল আলম সোহ্লে তবে পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফাইনাল টাচে কিংসের তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেন বদলি খেলোয়াড় ইব্রাহিম (৩-০)। আর এই গোলেই সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে বসুন্ধরা। গত আসরে রানার্স আপ হয়েছিল ঢাকা আবাহনী। অন্যদিকে বসুন্ধরা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলে হয়েছিল তৃতীয়। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে