আজ জিতলেই শিরোপা বসুন্ধরার

আবাহনীকেও রুখে দিল পুলিশ

প্রকাশ | ১১ মে ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে (বিপিএল) কিছুদিন আগেই ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে ড্র করে তাদের হতাশায় ডুবিয়েছিল পুলিশ ফুটবল ক্লাব। শুক্রবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করেছে পুলিশ। এই ম্যাচে জয় পেলে মোহামেডানের সমান পয়েন্ট হয়ে যেত আকাশি-নীলদের। কিন্তু পুলিশ সেটি হতে দিল না। ম্যাচের শেষ দিকে এমএস বাবলুর এক গোলেই আবাহনীর পয়েন্টে ভাগ বসায় তারা। ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আবাহনী। একই দিনে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করেছে রহমতগঞ্জ। আজ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচ জিততে পারলেই মোট ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা উৎসব করতে পারবে কিংসরা। তবে ড্র করলে অপেক্ষা বাড়বে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। শুক্রবার গোপালগঞ্জে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে আবাহনী। ৭ মিনিটে পুলিশের ভ্যানিজুয়েলার ফরোয়ার্ড অ্যাডওয়ার্ড মরিলেস্নার ফ্রি কিক বক্সে পেয়ে লাফিয়ে উঠে হেড নিতে চেয়েছিলেন উজবেক ডিফেন্ডার আজামাত আব্দুলস্নায়েভ। তবে বলের ফ্লাইট মিস করেন। ৯ মিনিটে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের গোলে লিড নেয় আবাহনী। ডান প্রান্ত থেকে রহমত মিয়ার বাড়ানো বল বক্সে হেড করেও ক্লিয়ার করতে পারেননি আবদুলস্নায়েভ। বল পেয়ে যান পাশেই দাঁড়ানো কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। দারুণ শটে পুলিশের জাল কাঁপান সেন্ট ভিনসেন্টের এই ফরোয়ার্ড (১-০)। ১৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে জানথন ফার্নান্দেজের ফ্রি কিক বক্সে পেয়েও বলের নাগাল পাননি ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান। ২৪ মিনিটে বক্সের কয়েকগজ সামনেই ফ্রি কিক পায় পুলিশ। অব্দুলস্নায়েভের ডান পায়ের স্পট কিকে বল আটকে যায় আবাহনীর মানব দেয়ালে। এর কিছুক্ষণ পরই আরও একটি গোলের সুযোগ এসেছিল পুলিশের। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থর ক্রসে ছোট বক্সে বল পেয়ে প্রায় আবাহনীর জালে জড়িয়েই দিয়েছিলেন উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার আকমাতভ। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তার শটটি। ৩০ মিনিটে কর্নার পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। ডান প্রান্ত থেকে জনাথনের কর্নার চলে যায় মাঠের বাইরে। ৩২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে জনাথনের আরও একটি কর্নার পুলিশের বক্সে ক্লিয়ার হয়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট হয় আবাহনীর। বক্সের বা প্রান্ত থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়াশিংটন বান্দ্রাওয়ের পাসে পা ছুঁইয়ে দিতে পারলেই ছিল নিশ্চিত গোল। কিন্তু ছোট বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা তার সতীর্থ ফরোয়ার্ড এনামুল ইসলাম গাজী বলের নাগালই পাননি। তবে প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় আকাশি-নীলরা। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে পুলিশ। ৫৬ মিনিটে গোলের সুযোগও পেয়ে যায় তারা। মরিলেস্নার ব্যাকহিলে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পোস্টের কাছ থেকে বা পায়ের যে শট নেন এমএস বাবলু। তা চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। ৫৯ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে প্যালাসিওসের ক্রস বক্সে পেয়ে হেড নেন বাবলু। তবে এবারও ব্যর্থ হন। ৮৫ মিনিটে বক্সের কাছ থেকে নাবিব নেওয়াজ জীবনের দর্শনীয় ফ্রি কিকে গোল হতেই পারত। তবে লাফিয়ে উঠে ফিস্ট করেন পুলিশ গোলরক্ষক। ৮৮ মিনিটে আচমকা শটে শহীদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন বাবলু (১-১)। এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি আবাহনীর। তাই হতাশার ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঐতিহ্যবাহী দলটি। প্রথম পর্বে লড়াই করে আবাহনীর কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল পুলিশ। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জে অনুষ্ঠিত রহমতগঞ্জ-শেখ রাসেলের ম্যাচটি প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। ৫৫ মিনিটে ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড আনেস্ট বুয়েটাংয়ের গোলে লিড নেয় রহমতগঞ্জ (১-০)। ৬২ মিনিটে সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড বালাভোনিচের গোলে ম্যাচে সমতা আনে শেখ রাসেল (১-১)। এই ম্যাচটিও শেষ হয় ড্র'তে। লিগে প্রথম দেখায় দুই দলের লড়াইটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ড্র'তে।