ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে এগিয়ে মোহামেডান
প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
আলোচনা-সমালোচনা আর বিতর্ক পেরিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম। অপরাজিত থেকে নিজেদের ২৩তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আবাহনী লিমিটেড। জয় দিয়ে এবারের প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে রানার্সআপ মোহামেডানও। তবে আকাশি-নীলরা শিরোপা জিতলেও ব্যাটে-বলে সেরা মোহামেডানের ক্রিকেটাররাই।
ডিপিএলে শেষ দিনে এসে রেকর্ড গড়া বোলিং করেছেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৬ ওভার ৩ বল করে ২৩ রান খরচায় ৮ উইকেট তুলে নেন রাজা, যা লিস্টে ক্রিকেটে বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ইয়াসিন আরাফাত মিশুর। ২০১৮ সালের ডিপিএলে আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রান দিয়ে নেন ৮ উইকেট।
এবারের আসরে লিগ পর্ব ও সুপার লিগ মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে কোনো হার ছাড়া ৩২ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতেছে আবাহনী। আর ৪ হারে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ১১ বছর পর রানার্সআপ মোহামেডান। আর সেই দলেরই ওপেনার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন হয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যদিও আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা থাকায় সব ম্যাচ খেলতে পারেননি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
সাদা-কালোদের জার্সিতে অঙ্কন খেলেছেন ১৬ ম্যাচ। ১ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটির সঙ্গে ৪৬.২১ গড়ে তার নামের পাশে তার মোট রান ৬৪৭। অঙ্কনের পরেই এবারের ডিপিএলের শীর্ষ ৫ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুইয়ে আছেন পারভেজ ইমন। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বাঁ হাতি এই ব্যাটার ১৩ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে করেছেন ৬২৩ রান।
এই তালিকায় তারপরের নামটা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাইফ হাসানের। ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে তার নামের পাশে আছে ৬১৮ রান। ১৩ ইনিংসে ৫৬৩ রান করে এনামুল হক বিজয় আছেন চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে থাকা জাকির হাসান ১১ ইনিংসে করেছেন ৫৪৯ রান।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও মোহামেডানের আধিপত্য। ১৬ ম্যাচে ১৯.০৬ গড়ে ৩১ উইকেট নিয়ে এবারের ডিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন সাদা-কালোদের আবু হায়দার রনি। লিগ পর্বে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে নেওয়া ২০ রানে ৭ উইকেট আসরে তার সেরা বোলিং ফিগার।
রনির পরে সেরা বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয়তে আছেন গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্সের রুয়েল মিয়া। বাঁঁ হাতি পেসার ১৫ ম্যাচে ১৯.৬৮ গড়ে নিয়েছেন ২৮ উইকেট। তৃতীয় স্থানে আছেন হাসান মাহমুদ। ১৪ ম্যাচে জাতীয় দলের এই পেসারের নামের পাশে উইকেট সংখ্যা ২৬টি। ১৫ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে নাজমুল অপুর অবস্থান চারে। আর পঞ্চম স্থানে থাকা মোহাম্মদ ইরফান হোসেনও নিয়েছেন ২৫ উইকেট।
এছাড়া দল হিসেবে আবাহনী-মোহামেডানের পর ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে শাইনপুকুর। সমান ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পয়েন্ট ১৮।