নারী-পুরুষ সমান প্রাইজমানি পাওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে ২০২৪ নারী টি২০ বিশ্বকাপ দিয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডিস। শুধু প্রাইজমানি নয়, ম্যাচ ফির টাকাও সমান পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, নারী বিশ্বকাপে দর্শক উপস্থিত করতে ব্যবস্থা নেবে বোর্ড।
ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থান। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে বিসিবি। এ বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে বসতে যাচ্ছে নারী টি২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেগা ইভেন্টের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি।
বিশ্বব্যাপী নারী ক্রিকেট অগ্রসর হলেও আর্থিক দিক থেকে বৈষম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এই বিশ্বকাপ থেকে বাস্তবায়ন হবে নারী-পুরুষের সমান প্রাইজমানির সিদ্ধান্ত।
জিওফ অ্যালারডিস বলেছেন, 'আমরা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটের মাঝে আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পুরুষ ও নারীরা সমান প্রাইজমানি পাবে। ম্যাচ ফিও সমান করা হয়েছে। এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে নতুন এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হবে। নারী ক্রিকেট যে পিছিয়ে নেই এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে একটা বার্তা যাবে পুরো বিশ্বে।'
২০১৪ সালে প্রথমবার নারীদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মতো মেগা এই ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ এসেছে। আইসিসি আশাবাদী, বাংলাদেশ দারুণভাবে আয়োজন করবে এই আসর।
অ্যালারডিস বলেছেন, 'বাংলাদেশ এর আগেও বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। এখানে ক্রিকেট শুধু খেলাই নয়, দর্শকের কাছে অন্যরকম আবেগের নাম। আমার মনে হয়, এই আসরটা দারুণভাবে আয়োজন করবে বাংলাদেশ।'
বাংলাদেশে খুব বেশি জনপ্রিয় নয় নারী ক্রিকেট। নিগার, পিংকিদের খেলা দেখতে খুব একটা দেখা যায় না সমর্থকদের মাঠে যেতে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপে স্কুল শিক্ষার্থীদের খেলা দেখার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা থাকছে না, সে প্রশ্নও উঠেছে। বোর্ড সভাপতি অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন ভিন্ন ব্যবস্থা করার।
নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, 'ফ্রি টিকিটে কি না এখন বলা মুশকিল। তবে আমরা চেষ্টা করব। ফ্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বোর্ড নিজের উদ্যোগে চেষ্টা করবে যে ওদেরকে (স্কুলের মেয়েদের) মাঠে আনার জন্য। সেটার জন্যে যদি পেমেন্ট করতে হয় বোর্ড করবে, ওদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে হবে না। বিশ্বকাপের কোনো টিকিটই কিন্তু ফ্রি না, এই মেসেজটা আমি সবার জন্যই বলছি।'