বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চের চেয়ে টেনশন বেশি জ্যোতির
প্রকাশ | ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ চলছে সিলেটে। এর ফাঁকেও বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ককে ঢাকায় আসতে হয়েছে আসন্ন নারী টি২০ বিশ্বকাপের একটি অনুষ্ঠানের জন্য। ওই অনুষ্ঠানে ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের পাশেই বসলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ অ্যালারডাইসের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন জ্যোতি। তার কাছে প্রশ্ন ছিল ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে। উত্তরে জ্যোতি শোনালেন টেনশনের (চিন্তা) কথা। এর সঙ্গে অবশ্য স্বপ্ন পূরণের উচ্ছ্বাসও ছিল জ্যোতির কথায়।
তিনি বলেন, 'প্রথমত দেখেন এখন পর্যন্ত কিন্তু নিশ্চিত না, যেহেতু চারটা মাস এখনো আছে, আমি নিজেও জানি না খেলতে পারব কি না। আলস্নাহ যদি আমাকে রক্ষা করেন, যদি সুস্থ থাকি, আর কোনো ইসু্য যদি না থাকে তাহলে হয়তো।'
'এটা আমি বলতে চাই প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার। সবাই খেলে, কিন্তু খুবই কম সংখ্যক খেলোয়াড় এটা করতে পারে। আমাদের দলে যারা আছি, এবং কমবেশি হয়তো এখান থেকে সবাই খেলবেন। তারা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের মাটিতে আমরা বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।'
জ্যোতির টেনশনের কারণ ঘরের মাঠের চাপ। এখন অবধি চারটি বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপে তারা হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলংকাকে। এরপর আর বিশ্বকাপে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। ওই আক্ষেপ এবার ঘোচানোর লক্ষ্য জ্যোতিদের।
তিনি বলেন, 'আমরা অনেক বেশি রোমাঞ্চিত এর চেয়ে বলব যে একটু টেনশনও কাজ করছে। কারণ হোম দর্শক থাকবে। সবাই চাইবে আমরা ভালো করি। আমরা এখন কঠিন সময় পার করছি। হয়তো অনেকের অনেক সংশয় আসতে পারে। কিন্তু তবুও বলব যে এই দলটা অনেক ভালোও করছে। আমাদের হাতে যে সময় আছে, আমরা যদি আরেকটু ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারি।'
'নিজেদেরকে যদি আরেকটু ভালোভাবে তুলে ধরতে পারি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে আক্ষেপটা আছে, আমরা যে চারটা বিশ্বকাপ খেলেছি ২০১৪ ছাড়া আর কোনোটিতে ম্যাচ জিততে পারিনি। আমাদের ফোকাস প্রথমে থাকবে যেন আমরা ম্যাচ জিততে পারি বাস্তবসম্মত ভাবে। এবং অবশ্যই সবার যদি সাপোর্ট, দোয়া এবং সবাই যদি সেরাটা চেষ্টা করতে পারি; বিশ্বকাপটা হয়তো আমরা রঙিন করে রাখতে পারি।'
নারী ক্রিকেট সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশে। তবে মাঠে দর্শক সারিতে খুব বেশি মানুষ দেখা যায় না এখনও। বিশ্বকাপের সময়ে কি মাঠে দর্শক আনতে আলাদা কিছু করা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, 'ফ্রি টিকিট এখন বলা মুশকিল। তবে আমরা চেষ্টা করব। ফ্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বোর্ড নিজের উদ্যোগে চেষ্টা করবে যে ওদেরকে মাঠে আনার জন্য। সেটার জন্য যদি পেমেন্ট করতে হয়, বোর্ড করবে, ওদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে হবে না। বিশ্বকাপের কোনো টিকিটই কিন্তু ফ্রি না, এই মেসেজটা আমি সবার জন্যই বলছি।'
নারী টি২০ বিশ্বকাপের এবারের আসর বাংলাদেশে হবে কেবল দুটি স্টেডিয়ামে। ঢাকার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে রয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এর বাইরে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ভেনু্য থাকলেও সেটি রাখা হয়নি কেন?
উত্তরে পাপন বলেন, 'কেন দুইটা ভেনু্য, তার নির্দিষ্ট কারণটা আমি জানি না। পসিবল যতগুলো ভেনু্য ছিল, সব দেখে ওনারা মনে করেছে এই দুই ভেনু্যতেই সবচেয়ে ভালো হয়। শুধু বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, আইসিসিও আছে, আমাদের বোর্ডও আছে।'
'আমার মনে হয় বেস্ট পসিবল অপশন যা ছিল, তাই চুজ করেছে। অন্য জায়গায় হলেও যে তা ঠিক, ছড়িয়ে যেত। আপাতত এই দুইটাকেই যদি আমরা ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক জায়গায় আয়োজন করতে পারব।'