কম শক্তির আবাহনীর বিপক্ষেও জিততে পারেনি মোহামেডান

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের নিয়েই দল গড়েছিল আবাহনী। কিন্তু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য তাদের দশ ক্রিকেটারকে হারিয়েছে। নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়দের হারিয়ে কম শক্তির দলে পরিণত হয়েছে আবাহনী। তবুও এই দলটির বিপক্ষে জিততে পারেনি মোহামেডান। ফতুলস্না খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুক্রবার আগে ব্যাটিং করে ৩০৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় আবাহনী। কঠিন এই রান অতিক্রম করতে নেমে মোহামেডানের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়। তারপরও আবু হায়দার রনি ও রুবেল মিয়ার দারুণ জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেনি ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত মোহামেডানের ইনিংস ২৯৪ রানে থামলে আবাহনী ৯ রানের দারুণ এক জয় তুলে নেয়। মোহামেডানের জন্য ৩০৪ রানের লক্ষ্যটা বেশ কঠিনই ছিল। ৪৫ রানে দুই ওপেনার রনি তালুকদার (০) ও হাবিবুর রহমান মুন্নাকে (২৫) হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে তারা। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে ৮৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইমরুল ৫৯ রানে আউট হতেই ফের বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। ৪০ ওভারে ১৯৮ রান তুলতেই মোহামেডান হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। অঙ্কন ৩৬, মেহেদী হাসান মিরাজ ২৭, আরিফুল হক ২০ রান করে আউট হন। শেষ দশ ওভারে জয়ের জন্য মোহামেডানের প্রয়োজন ছিল ১০৬ রান। কঠিন এই লক্ষ্যটাকে সহজ করে ফেলছিলেন রুবেল ও রনি। সপ্তম উইকেটে এই দুইজন মিলে অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৯৬ রান করে। কিন্তু শেষ কয়েক ওভারে যথেষ্ট হিসাব নিকাশ করে খেলতে পারেনি বলেই ম্যাচটা হারতে হয়েছে মোহামেডানকে। রুবেল ৬২ বলে ৬৫ এবং রনি ২৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম ৪৪ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া ফাহাদ, জায়েদ ও রাকিবুল প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডানের বোলারদের বিপক্ষে তান্ডব চালান আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা। আবাহনী ৪৪.৪ ওভারেই অলআউট হলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি ৩০৩ রান করেছে। দলের স্কোরকে তিনশ পেরিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১০১ বলে খেলেছেন ১৩৩ রানের ইনিংস। তাতে ছিল ৮ চার ও ১০ ছক্কার মার। ১৩১.৬৮ ছিল স্ট্রাইক রেট। এছাড়া সাব্বির হোসেন খেলেছেন ৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ৭ চার ও ৬ ছক্কায় সাব্বির নিজের ইনিংসটি সাজান। যদিও এই দুই ব্যাটার ছাড়া আবাহনীর আর কোনো ব্যাটার কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে দারুণ বোলিং করেছেন রনি। ৪০ রান খরচায় তার শিকার তিনটি উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ ৫০ রানে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। নাঈম হাসান, নাসুম আহমেদ ও রুবেল মিয়া প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।