ডিপিএলে দারুণ সেঞ্চুরিতেও রাব্বির কাছে ম্স্নান সাকিব

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
সাকিব আল হাসান মাহফিজুর রহমান রাব্বি
সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি ও ইয়াসির আলী চৌধুরীর হাফ সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক মাহফিজুর রহমান রাব্বির সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্স ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুই বল আগেই দুই উইকেটে জয় নিশ্চিত করে। শুক্রবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে গাজী গ্রম্নপ। শুরুতেই ৫৪ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় দলটি। তবে পঞ্চম উইকেটে সাব্বির হোসেন ও রাব্বি মিলে হাল ধরেন। তাদের ১১২ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে গাজী। সাব্বির ৯১ বলে ৬৪ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। এরপর স্কোরবোর্ডে আর আট রান যোগ হতেই মঈন খান (৩) আউট হন। একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করা রাব্বি এবার যুব দলের সতীর্থ শেখ পারভেজ জীবনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১০৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। জয় থেকে এক রান দূরে থাকতে রাব্বি আউট হন। তার পর কোনো রান না করেই ফেরেন আব্দুল গাফফার। ১১৮ বলে ৩ চার ও ১২ ছক্কায় রাব্বি নিজের ১২৫ রানের ইনিংস সাজান। লিস্ট এ ক্রিকেটে এর আগে তার সেঞ্চুরি তো দূরে থাক, কোনো হাফ সেঞ্চুরিও ছিল না। শুক্রবার দারুণ এই ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর পাশাপাশি প্রথমবার তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারও স্পর্শ করলেন তিনি। এর আগে বোলিংয়ে তিন উইকেট নিয়ে অবদান রেখেছিলেন রাব্বি। দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। অন্যপ্রান্তে জীবন ৩০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেখ জামালের বোলারদের মধ্যে আরিফ আহমেদ ৪৪ রানে চারটি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া তাইবুর পারভেজ দুটি এবং ইয়াসিন আরাফাত মিশু ও শফিকুল ইসলাম প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। সাকিব ১০ ওভার বোলিং করে ৪৭ রান খরচ করে উইকেট শূন্য ছিলেন। এর আগে শুক্রবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাইফ হাসানকে হারায় শেখ জামাল। দ্বিতীয় উইকেটে সৈকত আলী ও ফজলে মাহমুদ মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। সৈকত ২৬ রানে আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে আরও ১০ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান (৫)। এরপরই গাজীগ্রম্নপ ক্রিকেটার্সের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন সাকিব ও ইয়াসির আলী। সাকিবের সেঞ্চুরি ও ইয়াসিরের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৮০ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৭ রান করেন সাকিব। ৭৯ বলে ৯ চার ও ৭ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটার নিজের ইনিংসটি সাজান। শুক্রবারের এই সেঞ্চুরিতে দীর্ঘ সময়ের খরাও কেটেছে তার। যে কোনও ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ৪ বছর ১০ মাস আগে। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেটা পেয়েছিলেন। মাঝের খরা শেষে আবারও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ার লিগে সাকিবের এটা প্রথম সেঞ্চুরি। সাকিব সেঞ্চুরি পেলেও ইয়াসির আউট হয়েছেন ৭১ রানে। ৫১ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ইয়াসির তার ইনিংসটি সাজান। এছাড়া ফজলে রাব্বি ৮৬ বলে ৪৭ রানের এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। গাজী গ্রম্নপের বোলারদের মধ্যে অফস্পিনার রাব্বি ২৯ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। ৩৭ রানে তিনটি উইকেট নেন আব্দুল গাফফার।