ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নামছে মোহামেডান
প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ১৪তম রাউন্ড শুরু হতে যাচ্ছে আজ থেকে। ভিন্ন ভেনু্যতে আজ দু'টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই হবে বিকাল ৪টায়। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব খেলবে তলানির দল ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে।
১৩তম রাউন্ড শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানেই আছে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। গত রাউন্ডে শেখ জামালকে ২-০ গোলে হারিয়ে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। তবে এই রাউন্ডে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের। প্রথম পর্বে পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিলেও লিগের দ্বিতীয় দেখায় গত রাউন্ডে পুলিশের সঙ্গে গোলশূন্য (০-০) ড্র করেছে সাদা-কালোরা। যদিও এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচে না হেরে অপরাজিত থাকার তকমা ধরে রেখেছে মোহামেডান। তবে গত রাউন্ডে পুলিশের কাছে পয়েন্ট খুইয়ে বসুন্ধরা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল তারা।
গত রাউন্ডে জয় পেলে কিংসের সঙ্গে মাত্র ৫ পয়েন্টের পার্থক্য থাকত। সেক্ষেত্রে শিরোপা রেসে থাকার লড়াইটা আরও জমজমাট হতে পারত। এখন ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট মোহামেডানের। দ্বিতীয় পর্বে পর পর তিন ম্যাচে জয় পাওয়ার পর এক ম্যাচ ড্র আলফাজ আহমেদের শিষ্যদের জন্য হতাশারই বটে। আজ তাই ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য সাদা-কালোদের। তবে প্রথম পর্বেও কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারাতে পারেনি মোহামেডান। লিগের প্রথম দেখায় সাদা-কালোদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেছিল বন্দর নগরীর দলটি। ওই ম্যাচটি গোলশূন্য (০-০) ড্র হয়েছিল। গত রাউন্ডে চট্টলা ৫-০ গোলে ব্রাদার্সকে উড়িয়ে দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছে। আজ তাই মোহামেডানকে কঠিন লড়াই করতে হবে তাদের বিপক্ষে। তৃতীয় স্থানে থাকা ঢাকা আবাহনীর গত রাউন্ড খুব একটা খারাপ কাটেনি। যদিও তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। তবে শেখ রাসেলের বিপক্ষে মাত্র ১-০ গোলের জয় আবাহনীর জন্য সতর্ক বার্তাই বটে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার পর আবাহনী কোনো ম্যাচে হারেনি, তবে ভালো মানের বিদেশির সঙ্গে জামাল ভুঁইয়া যোগ হওয়ার পর সমর্থকরা আশা করেছিল আবাহনীর জয়গুলো আরেকটু বড় ব্যবধানের হবে।
প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল স্কোরিংয়ে কিছুটা দুর্বলতা পরীলক্ষিত হচ্ছে আকাশী-নীলদের। দ্বিতীয় পর্বে আবাহনীর জয়গুলোও খুব বড় ব্যবধানের নয়। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের একধাপ নিচে রয়েছে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পুলিশ ফুটবল ক্লাব। মাঝারি মানের দল নিয়ে তারা যেভাবে এগিয়ে চলেছে সেটা প্রশংসার দাবিদার। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী ও ফর্টিস এফসি। সপ্তম স্থানে থাকা শেখ জামালের ১৫ পয়েন্ট। ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে অষ্টম স্থানে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি অলবস্নুজরা। এক সময়ের ট্রেবলজয়ী খ্যাত দলটি গত কয়েকটি লিগে শুধু মুখে মুখে শিরোপা রেসে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেও মাঠে তার প্রতিফলন ঘটেনি। গত আসরে ১১ দলের মধ্যে পঞ্চম হয়ে লিগ শেষ করেছিল শেখ রাসেল। এর আগের আসরে ১২ দলের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছিল তারা। এবার তারা অবনমনের শঙ্কায় থাকা দলগুলোর কাতারেই বেশি সময় অবস্থান করছে। এখনই ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নেমে যাওয়ার মতো লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়াও তাদের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। ১০ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচে জয় না পাওয়া, সর্বাধিক গোল হজম করা এবং সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ১৩ ম্যাচ খেলে তিনটি ড্র করে মাত্র ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা।