বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটে লেগ স্পিনাররা নিয়মিত দাপট দেখাচ্ছেন। তবে উল্টোপথে বাংলাদেশ। টাইগার ক্রিকেটে যে লেগ স্পিনারের বড্ড সংকট। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন লেগ স্পিনারের দেখা মিললেও তা যথেষ্ট নয়।
দীর্ঘ সময় সার্ভিস পাওয়ার মতো একজন লেগ স্পিনারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ দল। সেই লক্ষ্যে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি সারাদেশে চিরুনি অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকে তুলে আনা হয়েছে ৮০ জন লেগ স্পিনার। পাকিস্তানের শাহেদ মাহমুদের তত্ত্বাবধানে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের এমন প্রক্রিয়া শেষে বাছাই করা হবে সেরা ২০ জনকে। যাদের নিয়ে পরবর্তী ধাপে কাজ করবেন জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। মে মাসের ২ ও ৩ তারিখে বিসিবি একাডেমি মাঠে হবে এই কার্যক্রম।
ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখলে ১৮ বছরের শিহাবকে চেনার কথা। দেশের ক্রিকেটে লেগ স্পিনার সংকট এতটাই তীব্র যে, স্কুল ক্রিকেটে তার বোলিং আলোড়ন ফেলেছিল দেশজুড়ে। যদিও রিশাদ হোসেনের হাত ধরে আপাতত স্বস্তির বাতাস টাইগার ক্রিকেটে। বিসিবি অবশ্য এতেই সন্তুষ্ট নয়, জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে আনা হয়েছে পাকিস্তানের কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদকে। লক্ষ্য, লম্বা সময় ধরে চলতে থাকা আক্ষেপের অবসান ঘটানো।
খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, '৮০ জনকে অলরেডি আমরা সিলেক্ট করেছি, লেগ স্পিনার। শাহেদ কিন্তু বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গিয়েছে। ফরিদপুর বলেন, রাজশাহী বলেন, রংপুর বলেন; সব জায়গায় ও কিন্তু, এমন না যে ছেলেরা এসেছে। ও গিয়ে গিয়ে ওদের বের করেছে। এখন আমরা দুইটা স্তরে ৪০ জন করে নিয়ে কাজ শুরু করব।'
অলক কাপালি, জুবায়ের লিখন কিংবা আমিনুল ইসলাম বিপস্নবরা অতীত হয়েছেন ক্রিকেট বোর্ডের অযত্নে। যদিও রিশাদ হোসেনে এখনো ধারাবাহিক জাতীয় দলের জার্সিতে। চলতি ডিপিএলে টানা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছেন ঠিকঠাক। মাত্র ১০ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে আছেন শীর্ষ উইকেট শিকারির দৌড়ে।
সুজন বলেন, 'রিশাদকে দু-তিন বছর আগে মনে হয় কোনো ক্লাব খেলাতে চাইত না। এ বছর আবাহনীতে ছিল, গত বছরও ছিল। আবাহনীতে ওর সুযোগ পাওয়াটা টাফ ছিল। তাই ওকে আমি শাইনপুকুরে খেলতে বললাম। ওদের বলে দিয়েছিলাম, ওকে যেন রেগুলার খেলায়। সেই শর্তেই আমি ছাড়তে রাজি হয়েছি।'