আলী আমজাদের ঘড়ি। দেড়শ বছর ধরে সুরমা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে যেটি তুলে ধরছে সিলেটের ঐতিহ্যকে। সে ঐতিহাসিক নিদর্শনের সামনে টি২০ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করল বাংলাদেশ ও ভারতের নারী দল। পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথমটিতে রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের নারীরা। তার আগের দিন শনিবার দুদলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও হারমানপ্রীত কৌর জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শনের সামনে ট্রফি উন্মোচন করেন।
সাধারণত সিলেটে কোনো সিরিজ আয়োজিত হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জেলার ঐতিহ্য চা বাগানকে ক্রিকেট বিশ্বের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে। তবে এবার কিছুটা ব্যতিক্রম পথে হেঁটেছে বোর্ড। এবার তারা তুলে এনেছে সিলেট জেলার ১৫০ বছরের পুরনো ঐহিত্যকে।
সুরমা নদীর পাড় আর সারদা হলের মাঝখানে শহরের জিরো পয়েন্ট। তার ঠিক ১০০ মিটারের মধ্যেই আলী আমজাদের ঘড়ির অবস্থান। কিনব্রিজ পার হয়ে শহরের উত্তর অংশের ঠিক প্রবেশমুখে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এটি ১৮৭৪ সাল থেকে। ওই বছর তৎকালীন বড়লাট লর্ড নর্থব্রম্নক সিলেটে সফরে এসেছিলেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার নবাব আলী আহমদ খান ঘড়িটি নির্মাণ করেন। নামকরণ করেন নিজের ছেলে আলী আমজাদ খানের নামে। এর আগে সিরিজ সামনে রেখে গণমাধ্যমে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ক নাহিদা আক্তার। সেখানে তীব্র তাপদাহের মধ্যে ম্যাচ খেলার প্রসঙ্গ ছাড়াও উঠে আসে সবশেষ সিরিজে দুদলের মধ্যে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে।
নাহিদা বলেন, 'যে গরম পড়ছে, সবার কষ্ট হচ্ছে। আমার মনে হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এ নিয়ে অজুহাত দেয়া উচিত নয়। তারপরও আমরা বলব, ঢাকার থেকে এখানে... আমরা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি, মানিয়ে নিতে হবে। এটা নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা আমাদের মনোযোগ খেলায় রাখছি।'
ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে আম্পারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাজে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ দল নিয়েও। তার অপেশাদার আচরণ নিয়ে সে সময় ক্রিকেট বিশ্বে অনেক আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছিল। তবে সে সব নিয়ে এখন ভাবছেন না নাহিদা। তিনি বলেন, 'আমরা ওটা চিন্তা করছি না। আমরা চিন্তা করি মাঠে কিভাবে ভালো ক্রিকেট খেলব, কিভাবে জয় পাব।'