বাফুফের নেই বিচ টুর্নামেন্ট
আয়োজন করছে ক্রীড়া পরিদপ্তর
প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
সময়ের বিবর্তনে বিচ ও ফুটসাল ফুটবল এখন বেশ জনপ্রিয়। ফিফা এই দুই ফুটবলের জন্য আলাদা বিশ্বকাপও আয়োজন করে। সাধারণ ফুটবলে পিছিয়ে পড়া অনেক দেশ এই দুই ধরনের ফুটবলে বেশ সফল। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও করে নানা টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অবশ্য বিচ ও ফুটসাল জাতীয় কোনো টুর্নামেন্টে দল পাঠায় না।
কাজী সালাউদ্দিন ২০০৮ সালে সভাপতি হওয়ার পর একটি ফুটসাল টুর্নামেন্ট হয়েছিল। যেখানে ব্রাদার্স ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন হয়। বাফুফে বিচ ফুটবল আয়োজন না করলেও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই প্রায় প্রতি বছরই করে এমন টুর্নামেন্ট।
২০১০ সালে শ্রীলংকায় দক্ষিণ এশিয়া বিচ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর গত এক যুগেরও বেশি সময় বিচ ও ফুটসালে বাফুফের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিত্ব নেই (সাবিনা, সুমাইয়া মালদ্বীপে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খেলেছেন)। বাফুফে নির্বাচনের পর প্রতি মেয়াদে অন্য সব কমিটির সঙ্গে বিচ ও ফুটসাল কমিটিও হয়। সাবেক তারকা ফুটবলার ও নির্বাহী সদস্য সত্যজিৎ দাশ রুপু বর্তমান ও গত দুই মেয়াদে এই কমিটির চেয়ারম্যান। এএফসির বিচ ও ফুটসাল সাব কমিটির সদস্যও আছেন ফেডারেশনের এক সহসভাপতি। বাফুফে এই জাতীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন না করলেও ক্রীড়া পরিদপ্তর করছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত শেখ রাসেল বিচ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৫) ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার। কক্সবাজারের ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ টুর্নামেন্টের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বালকে (অনূর্ধ্ব-১৫) চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ হয়েছে যথাক্রমে সিলেট বিভাগীয় বালক দল এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় বালক দল। অন্য দিকে, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৫) টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ হয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বালিকা দল ও সিলেট বিভাগীয় বালিকা দল।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ রাসেল ফুটবল বিচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি স্পোর্টস টু্যরিজমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই টুর্নামেন্ট। এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের বালক-বালিকা অনূর্ধ্ব-১৫ এর ১৬টি দল অংশ নেয়।