বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের ৫ ম্যাচের টি২০ সিরিজ দরজায় কড়া নাড়ছে। আগামী ৩ মে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ। তার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে শুক্রবার। শেষ হবে রোববার। শুক্রবার সকাল ৮টায় জিমনেসিয়ামে ফিটনেস ট্রেনিং দিয়ে শুরু হয়েছে টাইগারদের প্রাক প্রস্তুতি। দেশের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া ১৫ ক্রিকেটারেরই ওই প্র্যাকটিস ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার কথা।
এদিকে জাতীয় দলের এ তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পের কারণে ডিপিএলের সুপার লিগের তৃতীয় রাউন্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সূচির ধারাবাহিকতায় আগামী ২৮ এপ্রিল প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সুপার লিগের তৃতীয় পর্ব শুরুর কথা। কিন্তু এখন তা ২৮ এপ্রিল হবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ একটাই। আবাহনীর ১০ জন ক্রিকেটার চট্টগ্রামের প্রাথমিক পর্বে অংশ নিচ্ছেন। তাদের ছাড়া আবাহনীর একাদশ মাঠে নামানোই কঠিন।
প্রাইম ব্যাংকেরও ৩ ক্রিকেটার শেখ মেহেদী হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন আর হাসান মাহমুদ, শাইনপুকুরের দুজন তানজিদ হাসান তামিম ও রিশাদ হোসেন এবং মোহামেডানের মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদও ১৭ জনের প্র্যাকটিস ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন। এদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ছাড়া বাকি সবাই বৃহস্পতিবার নিজ নিজ দলের পক্ষে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলেছেন।
২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ক্যাম্প চললে তাদের কারো পক্ষেই আর প্রিমিয়ার সুপার লিগ খেলা সম্ভব না। এক-দুজন ছাড়া দল নামানো যায়, কিন্তু মূল ১০ জন ছাড়া একাদশ হবে কীভাবে? আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের চোখেমুখে রাজ্যের চিন্তা। কারণ আগামী পর্বের ম্যাচটিই আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিতের ম্যাচ হয়ে গেছে। ফলে অনেকেরই ধারণা, যেহেতু আবাহনীর পক্ষে দল নিয়ে মাঠে নামাই দুষ্কর, তাই ২৮ এপ্রিলের সুপার লিগের তৃতীয় রাউন্ড একদিন পিছিয়ে ২৯ এপ্রিল হতে পারে।
২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে পূর্ব প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষ হয়ে গেলে ১৪ জনের জাতীয় দল চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তখন আবাহনীর অন্তত ৩ থেকে ৪ জন ক্রিকেটার ফ্রি হয়ে যেতে পারেন। তখন আবাহনী খেলতে পারবে। পাশাপাশি ওই পর্বের জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফ্রি করেও দেওয়া হতে পারে। যাতে ২৮ এপ্রিল ক্যাম্প শেষে রাতে ঢাকা ফিরে সবাই ২৯ অথবা ৩০ এপ্রিল সুপার লিগে নিজ নিজ দলের পক্ষে মাঠে নামতে পারেন।