শাস্তি পেতেই হলো কোহলিকে

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ফুল টস বলটা ছিল কোমরের ওপর। তারপরও হার্ষিত রানার হাতে ক্যাচ দেওয়ার পর থার্ড আম্পায়ার নো বল না দিয়ে আউট দেন। বিরাট কোহলির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তৃতীয় ওভারে তার ৭ বলে ১৮ রানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংসের এমন অবসান ঘটতে দেখে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ওপেনার। অনফিল্ড আম্পায়ারের দিকে তেড়ে-ফুঁড়ে যান, কিছু একটা বলতে দেখা যায়। মাঠ থেকে বেরিয়ে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার বেলায় আবর্জনার পট গস্নাভসের আঘাতে ফেলে দেন। পুরোটা সময় তার চেহারায় ছিল ভীষণ ক্ষোভের ছাপ। নো বল কেন দেওয়া হলো না, এর চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে ওঠে- কত বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার শাস্তির ঘোষণা এলো। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আইপিএল আচরণবিধি ভাঙার দায়ে কোহলিকে ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে। বিবৃতিতে অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, কেন তাকে জরিমানা করা হলো। অবশ্য স্পষ্ট করে না বললেও বোঝা যায়, প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে জরিমানা গুনতে হচ্ছে কোহলিকে। হার্ষিতের উঁচু ফুল টস বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন বেঙ্গালুরুর ওপেনার। কিন্তু কোমর সমান উঁচুতে বল আসায় নো বলের দাবিতে তিনি রিভিউ নেওয়ার আগেই থার্ড আম্পায়ার যাচাই শুরু করে দেন। কিছুক্ষণ পর টিভি আম্পায়ার মাইকেল গফ বলের উচ্চতাকে বৈধ রায় দিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। ক্ষোভে ফেটে পড়েন কোহলি, অনফিল্ড আম্পায়ারের দিকে তেড়ে-ফুঁড়ে যান তিনি। নন স্ট্রাইকে থাকা ফাফ ডু পেস্নসিসও অসন্তুষ্ট ছিলেন। কোমর সমান উঁচুতে বল থাকার পরও কেন নো বল না দিয়ে সেটাকে বৈধ ডেলিভারি দিল, তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কোহলির আউটের সময় নো বলের উচ্চতা নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়েছে নতুন হক আই টেকনোলজি। এই প্রযুক্তি অনুযায়ী, কোহলি যদি ক্রিজে থাকতেন তাহলে বল মাটি থেকে ০.৯২ মিটার উচ্চতায় তাকে অতিক্রম করত। কিন্তু কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। তার মানে ডানহাতি ব্যাটার ব্যাটিং ক্রিজে থাকলে বল তার কোমরের নিচ দিয়ে যেত, ওপর দিয়ে নয়। এজন্য এটিকে বৈধ ডেলিভারি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।