সমীকরণটা সহজ ছিল। মিলান ডার্বি জিতলেই লিগ শিরোপাও জেতা হয়ে যাবে ইন্টার মিলানের। চলতি মৌসুমের ফর্ম দেখে সকলেই একটা অনুমান করতে পেরেছিল এই মিলান ডার্বিতে কে জিতবে।
মিলান ডার্বিতে সোমবার রাতে এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতালিয়ান সিরি'আতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইন্টার মিলান। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ ডার্বিতে জয়ী হলো তারা। ফ্রান্সেসকো আকারবি ও মার্কোস থুরামের গোলে ইন্টারের জয় নিশ্চিত হয়। আর এই জয়ের ফলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে ইন্টার মিলান পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে ২০তম লিগ শিরোপা জয় করার কৃতিত্ব দেখাল।
প্রস্তুত মঞ্চে শুরুতেই এগিয়ে গেল ইন্টার মিলান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল তারা। পরে একটি গোল শোধ করে নাটকীয়তার আভাস দিল এসি মিলান। কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে তিন লাল কার্ডে ছড়াল বাড়তি উত্তাপ। তবে সম্ভাবনাকে সত্যি করে, নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের আবারও হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে সিরিয়ার স্বপ্ন শিরোপা জিতে নিল সিমোনে ইনজাগির দল ইন্টার মিলান।
সান সিরোয় সোমবার রাতে রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে ২০তম লিগ শিরোপা জিতল ইন্টার। এবারের লিগে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচই হেরেছে ইন্টার মিলান, গত সেপ্টেম্বরে সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে। সেই থেকে অজেয় দলটির অর্জন ৩৩ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৮৬ পয়েন্ট। তাদের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে এসি মিলান।
২০২১ সালে দলটির দায়িত্ব নিয়ে কোচ হিসেবে প্রথম সিরি'আ জয়ের স্বাদ পেলেন সাবেক স্ট্রাইকার ইনজাগি। পুরো ম্যাচে বল দখলে সামান্য এগিয়ে থাকা এসি মিলান গোলের জন্য কিংবা লক্ষ্যে শট রাখায়ও আধিপত্য করে। মোট ১৫টি শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা, যেখানে ইন্টারের ১১ শটের তিনটি থাকে লক্ষ্যে। তবে ওই তিন শটের দুটিই জালে পাঠিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসে ইনজাগির দল।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে কর্নারের ফলশ্রম্নতিতে বাঁজামাঁ পাভার্দের হেড পাস পেয়ে কাছ থেকে হেডেই ইন্টারকে এগিয়ে নেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফ্রান্সেসকো আচের্বি। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড মার্কাস থুরাম। ৮০ মিনিটে কাছ থেকে হেডে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে নতুন রোমাঞ্চ ছড়ান ফিকায়ো তোমোরি। গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এসি মিলান, যদিও বাকি সময়ে তেমন পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা।
আর যোগ করা সময়ের শেষ কয়েক মিনিটে মাঠে উত্তেজনা ছড়ায়। বিতন্ডায় জড়িয়ে একই সঙ্গে লাল কার্ড দেখেন এসি মিলানের ডিফেন্ডার থিও এরনঁদেজ ও ইন্টারের ডিফেন্ডার ডেনজেল ডামফ্রিস। খানিক বাদে প্রতিপক্ষের একজনকে কনুই মেরে ডিফেন্ডার ডেভিডে কালাব্রিয়াও বহিষ্কার হলে ৯ জনে পরিণত হয় এসি মিলান। এর একটু পরই বাজে রেফারির শেষ বাঁশি। দুই মৌসুম পর আবারও মুকুট ফিরে পাওয়ার উৎসব শুরু হয় ইন্টার মিলান শিবিরে।