সেমিতে মোহামেডানের সঙ্গী হলো পুলিশ
প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে গত মৌসুমে শেষ আট পেরুতে পারেনি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এ আসরে প্রত্যাশা ছিল সেমিফাইনালে খেলার। তবে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে জামালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে পুলিশ ফুটবল ক্লাব। গত তিন মৌসুম ধরে গ্রম্নপ পর্বই পেরুতে পারেনি পুলিশ। চার মৌসুম পর আবারও সেমিতে খেলছে তারা। যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে।
এবারের আসরে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দেখা হয়েছে শেখ জামাল ও পুলিশ ফুটবল ক্লাবের। এর আগে গ্রম্নপ পর্বেও দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। ঐ ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে পুলিশের সামনে দাঁড়াতেই কষ্ট হয়ে যায় শেখ জামালের। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই কিনা একের পর এক গোল হজম করে বসে ধানমন্ডির ক্লাবটি। একটি গোলও শোধ করতে পারেনি তারা। ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই লিড নেয় পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ডানপ্রান্ত থেকে মিঠুর ফ্রি কিক ছিল প্রায় গোলই। উড়ন্ত সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে ডান পোস্টের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা উজবেক মিডফিল্ডার জাভখির সখীবভ গোল নিশ্চিত করে পুলিশকে এগিয়ে দেন (১-০)। ৬ মিনিটে সুযোগ এসেছিল জামালেরও। ডান প্রান্ত দিয়ে পুলিশের বক্সে ঢুকে ডান পায়ে শট নেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড আবু তোরে। কিন্তু সেই বল গ্রিপে নেন রাসেল মাহমুদ। ৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পুলিশ। বা প্রান্ত থেকে সতীর্থর ক্রস পোস্টের কাছে পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন শাহ কাজেম কিরমানী (২-০)। ২৩ মিনিটে আরও এক গোল হজম করে শেখ জামাল। পুলিশের একটি ফ্রি কিক থেকে আক্রমণের শুরু। কিন্তু বক্সে বল ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়েছেন জামালের ডিফেন্ডাররা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে বক্সের বা প্রান্ত থেকে বল পাঠান শাহেদ। পোস্টের কাছে একেবারেই ফাঁকায় ছিলেন পুলিশের উজবেক ডিফেন্ডার আজামত আব্দুলস্নায়েভ। পেছন ঘুরে পোস্টের দিকে না তাকিয়েই দারুণ শটে বল জালে পাঠান আব্দুলস্নায়েভ (৩-০)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় পুলিশ।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কিছু গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল শেখ জামাল। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি। পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ৬৩ মিনিটে ডি বক্সের কয়েক গজ দূরেই ফ্রি কিক পায় তারা। জামালের উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার শাখদের মাপা শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন পুলিশের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ। ৮০ মিনিটে প্রায় একই জায়গায় আবারও ফ্রি কিক পায় জামাল। ফরোয়ার্ড আবু তোরের স্পট কিক বক্সে পেয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে হেড নেন মনজুরুর রহমান। তবে বল জড়ায়নি জালে। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি ধানমন্ডির ক্লাবটির। পুলিশের কাছে ৩-০ গোলে হেরে কোয়ার্টার থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। ২০১৯ সালে ফেডারেশন কাপে প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই সেমিফাইনালে খেলেছিল পুলিশ। এর পরের কয়েক আসরে গ্রম্নপ পর্বই পার হতে পারেনি তারা। দীর্ঘ ৪ বছর পর আবারও শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো পুলিশ। আগামী ৭ মে সেমিফাইনালে মোহামেডানকে মোকাবেলা করতে হবে তাদের। ফেডারেশন কাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি খেলবে ঢাকা আবাহনী ও ফর্টিস এফসি। আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচের বিজয়ী দল সেমিতে খেলবে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে।