'আমার কিছু বলার দরকার নেই, সবাই দেখেছে'- এটুকু বলেও আসলে চুপ থাকলেন না জাভি হার্নান্দেজ। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ-হতাশা লুকিয়ে রাখলেন না তিনি। বার্সেলোনা কোচের মতে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জয়টা প্রাপ্য ছিল তার দলেরই। ম্যাচে বড় অন্যায়ের শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। ৩২ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৭০, তিনে থাকা জিরোনার পয়েন্ট ৬৮।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে রোববার দুই দফায় এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি বার্সেলোনা। বরং দু'বারই সমতা ফিরিয়ে একদম শেষ সময়ের গোলে ম্যাচ জিতে নেয় রিয়াল। লা লিগায় এই মৌসুমের শিরোপার ফয়সালাও হয়ে গেছে তাতে।
এই ম্যাচের আগেই রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পেছনে ছিল বার্সেলোনা। শিরোপা লড়াই কিছুটা জিইয়ে রাখতে হলেও জয়ের বিকল্প তাদের ছিল না। উল্টো হেরে গিয়ে তারা পুরোপুরিই শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে গেল বলা যায়।
ম্যাচের উলেস্নখযোগ্য একটি ঘটনা ছিল ২৮তম মিনিটে। রাফিনিয়ার ক্রস থেকে বুদ্ধিদীপ্ত টোকায় লামিনে ইয়ামাল গোল করেছেন বলেই মনে হচ্ছিল শুরুতে। রিয়াল গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন অবশ্য কোনোরকমে আটকে দেন বল। বল পুরোপুরি গোললাইন পেরিয়ে গেছে কি না, সেই সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। বারবার ভিএআর দেখে শেষ পর্যন্ত গোল দেননি রেফারি।
ম্যাচ শেষে সেই ঘটনার দিকেই আঙুল তুললেন বার্সেলোনা কোচ জাভি, 'মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে আমরাই ভালো ছিলাম এবং সব দিক থেকেই তিন পয়েন্ট আমাদের প্রাপ্য ছিল। কিন্তু আমরা এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে হেরেছি, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। সবাই দেখেছে, বল ভেতরে ঢুকেছে (২৮তম মিনিটে)। আজকে যা হয়েছে, তা বিরাট অন্যায়। সবাই দেখেছে।'
'সবাই দেখেছে কী হয়েছে আমি কিছু বললে আমাকে শাস্তি দেবে। ছবি আছে, ভিডিও আছে, আমার কিছু বলার দরকার নেই। আমার কথা হলো, আজকের ম্যাচে ন্যায়বিচার হয়নি।'
ম্যাচ হারলেও দলের পারফরম্যান্সে গর্বের উপকরণই দেখছেন জভি। শিরোপা ধরে রাখার আশা অবশ্য ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এখন তার লক্ষ্য রানার্স আপ হওয়াটা নিশ্চিত করা, 'যেভাবে লড়েছি আমরা, আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। বিশেষ করে, দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটি পর্যায়ে খেলা খুব ভালো নিয়ন্ত্রণ করেছি আমরা এবং রক্ষণ খুব ভালোভাবে সামলেছি। রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ভালো ছিলাম আমরা ও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের এবং দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করতে হবে। সেটা করতে পারলে আরেক প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পাব।'