ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন বাবর

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথম টি২০তে দাপুটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দেখেছে পাকিস্তান। রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে চাপম্যানের ৮৭ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছে তারা! হারের পর নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ভারত বিশ্বকাপের পরপরই তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন বাবর আজম। এক সিরিজ পরই অবশ্য টি২০'র নেতৃত্বে ফিরেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজের দ্বিতীয় টি২০তে অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটিং করতে নেমে একটা রেকর্ডও গড়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারা ম্যাচে ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন বাবর। অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানের জার্সিতে টি২০তে ২২৪৬ রান করেছেন বাবর। যা করতে পারেননি আর কোনো অধিনায়কই। এর আগে সর্বোচ্চ ২২৩৬ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচজনের তিনজনই এখনো দলের অধিনায়কত্ব করছেন, বাবর ছাড়াও নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন ও ভারতের রোহিত শর্মা। একমাত্র ফিঞ্চই অবসরে গেছেন। বিরাট কোহলি খেললেও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন আগেই। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের, ৩৯ ম্যাচে ৮২৬। এ তালিকায় তিনি অবশ্য বেশ পিছিয়ে। কমপক্ষে ১ হাজার রানই আছে ১৭ জনের। কিউইদের বিপক্ষে শুরুতে টস হারলেও ব্যাটিংটা খারাপ ছিল না স্বাগতিকদের। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম বড় ইনিংসের আভাস দিচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্য ২১ বলে ২২ রানে রিটায়ার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা থাকায় পরে আর মাঠে নামেননি তিনি। টপ অর্ডারে বাবর ৩৭ রানে অবদান রেখেছেন। তারপর শেষদিকে শাদাব খানের ৪১ ও ইরফান খানের ৩০* রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় তারা। যদিও এই ভেনু্যতে এমন স্কোর মোটেও খুব বেশি নয়। গড় স্কোর তার চেয়েও বেশি হয়ে থাকে। ম্যাচের পর রিজওয়ানের চোট নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে বাবরের, 'আমার কাছে ব্যাটিংটা মোটেও খারাপ মনে হয়নি। শেষদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছি। তবে আমার মনে হয় ১০ রান কম হয়েছে। রিজওয়ান চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। তখন নতুন ব্যাটারকে দ্রম্নত খাপ খাইয়ে নিতে হতো। কিন্তু সেটা মোটেও সহজ কাজ নয়।' বাবরের মতে শাদাব আর ইরফানের জুটি ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে তাদের, 'শাদাব আর ইরফানের জুটি আমাদের ভালো মতোই রিকভার করতে সাহায্য করেছে। এই মাঠে গড় স্কোর কিন্তু ১৮০-১৯০। তাই ব্যাটিংটা খারাপ হয়নি।' আব্বাস আফ্রিদি (২৭ রানে দুটি) ও নাসিম শাহ (৪৪ রানে একটি) শুরুর দিকে একটি করে উইকেট নিলেও বল হাতে পরে সেভাবে কিছু করে দেখাতে পারেনি তারা। তারপর ছিল ক্যাচ ছাড়ার মহড়া! পাকিস্তানকে যার খেসারত দিতে হয়েছে। বাবরও আক্ষেপ করে বলেছেন, 'শুরুর দিকে আমরা খারাপ করিনি। কিন্তু ক্যাচ ছাড়লে সেটা পার্থক্য গড়ে দেয়। বিশেষ করে মার্ক চ্যাপম্যান; যে নাকি সব সময় আমাদের বিপক্ষে ভালো খেলে। তার মতো সেট ব্যাটারের ক্যাচ ছাড়লে সে তো মুহূর্তেই ম্যাচ কেড়ে নিয়ে যাবে।' আগামী ২৫ ও ২৭ এপ্রিল ৪র্থ ও ৫ম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এখন পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন তিনি, 'সব মিলিয়ে আমরা পরিকল্পনামতো বোলিং করিনি, এটা স্বীকার করতেই হবে। এখন এ বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে যেন পরের ম্যাচে একই ভুল না হয়।'