মোহামেডানের গোল উৎসব জিতেছে বসুন্ধরাও
ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সকে ৮-০ গোলে হারায় মোহামেডান। একই দিনে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে হারিয়েছে ফর্টিস এফসিকে। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-১ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে।
প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের প্রথম পর্বে মোহামেডানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। লিগের দ্বিতীয় পর্বেও গোপীবাগের দলটিকে গোলবন্যায় ভাসাল সাদা-কালোরা। শনিবার ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সকে ৮-০ গোলে হারায় মোহামেডান। দলীয় অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে একাই করেন ৫ গোল।
একই দিনে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে হারিয়েছে ফর্টিস এফসিকে। মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-১ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে।
ময়মনসিংহে মোহামেডান-ব্রাদার্সের লড়াইটা হয়েছে একপেশে। ম্যাচ জুড়েই ছিল সাদা-কালোদের আধিপত্য। দুর্বল ব্রাদার্সকে করতে হয়েছে অসহায় আত্মসমর্পণ। মোহামেডানের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাদের। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ইনডিরেক্ট ফ্রি কিক পায় মোহামেডান। উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার মোজাফ্ফারভের স্পট কিক ব্রাদার্সের মানব দেয়ালে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ছোট বক্সে বল পাঠান মোজাফ্ফারভ। বল বুঝে নিয়ে দারুণ শটে গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে দেন শাহরিয়ার ইমন (১-০)। ৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে। বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সে বল পাঠান ইমানুয়েল, পোস্টের কাছ থেকে ফাইনাল টাচে গোল আদায় করে নেন মোহামেডানের অধিনায়ক দিয়াবাতে (২-০)। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+২) মিনিটে মোজফফারভের জোগান দেওয়া বলে নিজের গোলের জোড়া পূর্ণ করেন সুলেমান দিয়াবাতে (৩-০)। এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় মোহামেডান। ৬৯ মিনিটে আরও একবার ব্রাদার্সের জাল কাঁপায় সাদা-কালোরা। বাঁ প্রান্ত থেকে জাফর ইকবালের ক্রসে বক্সে বল পেয়ে হেডে গোল করে হ্যাটট্রিক করেন সুলেমান দিয়াবাতে (৪-০)। ৭২ মিনিটে বা পোস্টের কাছ থেকে আবারও ব্রাদার্সের জালে বল পাঠান দিয়াবাতে (৫-০)। ৭৫ মিনিটে জাফর ইকবালের পাসে গোল করেন মোহামেডানের স্থানীয় ফরোয়ার্ড জুয়েল মিয়া (৬-০)। ৮৭ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল পোস্টের কাছ থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে ব্রাদার্সের জালে পাঠান নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ইমানুয়েল টনি (৭-০)। ৮৮ মিনিটে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন দিয়াবাতে (৮-০)। এই ম্যাচে এটি তার ম্যাচে পঞ্চম গোল। এই গোলেই উৎসবটা শেষ করে মোহামেডান। প্রথম পর্বেও মোহামেডানের কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল ব্রাদার্স। সেবার ৫টি গোল হজম করে ১টি গোল শোধ করতে পেরেছিল পয়েন্ট তলানিতে থাকা দলটি।
অন্যদিকে রাজশাহীতে ফর্টিস এফসির বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এই ম্যাচে মাত্র একটি গোলই আদায় করতে পেরেছে তারা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন বসুন্ধরার মিগেল দামাসেনো। ডরিয়েলটন গোমেজের বাড়িয়ে দেওয়া বল দারুণ শটে ফর্টিসের জালে পাঠান মিগেল (১-০)। এই গোলেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় কিংসের। প্রথম পর্বে ফর্টিসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বসুন্ধরা।
একই দিনে মুন্সীগঞ্জে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পল সেনের গোলে ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিড নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী (১-০)। ৪৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রায়হান হাসান (২-০)। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় রহমতগঞ্জ। বুয়েটাংয়ের স্পট কিক আশ্রয় নেয় চট্টগ্রাম আবাহনীর জালে (২-১)। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি রহমতগঞ্জের। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে চট্টলা। প্রথম পর্বে এই দুই দল ১-১ গোলে ড্র করেছিল।