স্প্যানিশ কোপা দেল রের শিরোপার জন্য দুই দলের অপেক্ষাই ছিল দীর্ঘ। ঘরোয়া এই শিরোপার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দল অ্যাথলেটিকো বিলবাও। কিন্তু এখন পর্যন্ত ২৩ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি এই প্রতিযোগিতার সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে। এরপর ছয়বার ফাইনাল খেললেও হারটাই সঙ্গী ছিল তাদের।
আরেক ফাইনালিস্ট রিয়াল মায়োর্কা সর্বশেষ কোপা দেল রে জিতেছিল ২০০২-২৩ মৌসুমে। ক্লাবের ইতিহাসে সেটাই সর্বশেষ শিরোপা। বিলবাও অবশ্য মাঝে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপায় হাত রেখেছে। কিন্তু তার পরও এবারের স্প্যানিশ কোপা দেল রে ফাইনাল ছিল দুই দলের শিরোপাখরা কাটানোর মিশন। সেই লক্ষ্যে অবশ্য সফল হয়েছে বিলবাও। টানটান উত্তেজনার ফাইনালে টাইব্রেকারে গিয়ে শিরোপা জয় করেছে তারা।
শিরোপার লড়াইয়ে বিলবাও অবশ্য পুরোপুরি ফেবারিট ছিল। ফাইনালে ওঠার পথে তারা বিদায় করেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার মতো দলকে। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণীর ম্যাচে দাপুটে শুরু করেছিল মায়োর্কাই। বেশ কয়েকটি পাল্টা আক্রমণে বিলবাও রক্ষণে ভয় ধরিয়েছিল তারা। ২১ মিনিটেও লিড পেয়েছিল তারাই।
কর্নার থেকে জটলার মাঝে বল পেয়েছিলেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার রাইল। সেখান থেকে বল ঠেলে দেন ড্যানিয়েল রদ্রিগেজ। ডিফেন্ডারদের ফাঁকা জায়গা থেকে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার। ৩১ মিনিটেই গোল শোধ করতে পারত বিলবাও। ইনাকি উইলিয়ামসের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন গুরুজেতা। কিন্তু সেটা সেইভ করেন মায়োর্কার গোলরক্ষক।
১-০ গোলে পিছিয়েই বিরতিতে যায় বিলবাও। তবে বিরতি থেকে এসেই গোলের দেখা পায় তারা। ম্যাচের সেরা তারকা নিকো উইলিয়ামসের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার অইহান সানচেত।
মাঠের খেলায় অবশ্য বিলবাওয়ের দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচে ৬৯ শতাংশ বলের দখল রেখে ৩০টি শট নেয় বিলবাও। বিপরীতে ৩১ শতাংশ বলের দখল রাখা মায়োর্কা নেয় ১৩ শট। তবে শেষে এসে দুই দলের কেউই পায়নি গোলের দেখা। এমনকি অতিরিক্ত সময়েও একাধিকবার হতাশ হতে হয়েছে দুই দলকে।
ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। টাইব্রেকারে বিলবাওয়ের প্রথম চার খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই গোল করেন। যদিও মায়োর্কার মানু মোরলানেস এবং নেমানিয়া রাদোনিক গোল করতে ব্যর্থ হন। ৪-২ ব্যবধানে শিরোপার স্বাদ পায় অ্যাথলেটিকো বিলবাও।