গাজী টায়ার্সকে ৪০ রানে অলআউট করেছে মোহামেডান
প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে মাত্র ৪০ রানে অলআউট করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩৮ বলে ম্যাচ জিতে নেয় ৯ উইকেটে। ২৬২ বল হাতে ঢাকা লিগে সবচেয়ে বড় জয়ের ইতিহাস লিখে নেয় মতিঝিল পাড়ার দলটি।
গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে বল করেন কেবল মোহামেডানের আবু হায়দার রনি ও নাসুম আহমেদ। তাদের দুইজনের বোলিংয়ে মাত্র ৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী। লিস্ট এ মর্যাদা পাওয়ার পর ডিপিএলে এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। সর্বনিম্ন স্কোর ৩৫, ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (আবাহনীর বিপক্ষে)। ২০০২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে মাত্র ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল চট্টগ্রাম।
শনিবার বিকেএসপির মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গাজী টায়ার্স। ৭ বল খেলে ডাক খেয়ে ফেরেন আশিকুর রহমান শিবলি। তিনে নেমে ইফতিখার হোসাইন ইফতিও ডাক খেয়েছেন। টপঅর্ডার ব্যাটাররা চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন। ১১ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দলের ৫ ব্যাটার। সুবিধা করতে পারেননি বাকিরাও। দুই অঙ্কে পৌঁছতে পেরেছেন কেবল একজন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেছেন ইফতেখার সাজ্জাদ।
গাজীর ইনিংসকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন মোহামেডানের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। ২০ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটি এক ইনিংসে দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। গত বিপিএলে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রংপুর রাইডার্স পেসার আবু হায়দার রনি। সেটাই ওই আসরের সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগার।
গাজীকে অলআউট করতে নাসুম ৬ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন বাকি ৩ উইকেট। রনিও নাসুমের সমানসংখ্যক ওভার করেন। ৯ উইকেটে জয় পায় মোহামেডান।
জবাবে এক উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহামেডান। রনি তালুকদার ১২ রান করে আউট হওয়ার পর ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। কায়েস ১৯ ও অঙ্কন ৫ রান করেন।
এ জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে মোহামেডান। গাজী টায়ার্স ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে ৯ নম্বরে।