ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, ডারউইন নুনেজ, হুলিয়ান আলভারেজের মতো লাতিন আমেরিকার তারকারা ইউরোপ মাতালেও বিশ্বের সেরা দামি ফুটবলার হয়ে উঠতে পারেননি তারা। জায়গাটা দখল করে আছেন জুড বেলিংহ্যাম, কিলিয়ান এমবাপে ও আর্লিং হালান্ডের মতো ইউরোপিয়ান তারকারা। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বের সর্বোচ্চ দামি ফুটবলার তৈরিতেও বেশির ভাগ দখল করে আছে ইউরোপ।
ট্রান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ দামি ফুটবলার তৈরিতে বিশ্বের সেরা দশটি শহরের মধ্যে সাতটিই ইউরোপের। তার মধ্যে শীর্ষে ইংল্যান্ডের লন্ডন। বাকি তিন শহর অবশ্য লাতিন আমেরিকার। সেখানে জায়গা করে নিতে পারেনি আর্জেন্টিনার কোনো শহর। তিন শহরের দুটি ব্রাজিলের আর একটি ?উরুগুয়ের।
১৯৬৬ সালের পর গত ৫৮ বছর ফুটবল ইতিহাসে বড় কোনো ট্রফি জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে প্রতিনিয়ত প্রতিভাবান ফুটবলারের জন্ম দিয়ে আসছে দেশটি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামি ফুটবলার উৎপাদনে শীর্ষে দেশটির শহর লন্ডন। ট্রান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী বাজারে তাদের ২৭০৮ ফুটবলারের মূল্য এক দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো। লন্ডনের সবচেয়ে দামি ফুটবলার বুকায়ো সাকা। যার বাজারমূল্য ১৩০ মিলিয়ন ইউরো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১০ মিলিয়ন ইউরো যথাক্রমে হ্যারি কেইন ও ডেকলাইন রাইসের।
দ্বিতীয় স্থানে আছে ফ্রান্সের প্যারিস। শহরটির ফুটবলারদের মার্কেট ভ্যালু ৬৮৮ মিলিয়ন ইউরো। সবচেয়ে দামি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। তার বাজারমূল্য ১৮০ মিলিয়ন ইউরো।
এর পরের অবস্থানে আছে যুগে যুগে প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরি করে আসা ব্রাজিলের সাও পাওলো শহর। রবের্তো কার্লোস, রবিনহোদের পর নেইমার, ক্যাসেমিরো ও ওসকাররা বিশ্ব ফুটবলে দাপট দেখাচ্ছে। শহরটির বর্তমান ফুটবলারদের বাজারমূল্য ৬২২ ?মিলিয়ন ইউরো।
৫৯৯ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে চারে স্পেনের মাদ্রিদ শহর। ৫৮২ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে পাঁচে উরুগুয়ের মনতেভিদিও। ছয়ে ব্রাজিলের রিও জে জেনেইরো। তাদের ফুটবলারদের বাজারমূল্য ৫৪৭ মিলিয়ন। পর্তুগালের লিসবন ৫৩৬ মিলিয়ন নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে। ৪৩৬ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে নয়ে বার্মিংহাম আর ৩৭৯ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে দশে নেদারল্যান্ডসের আর্মস্টারডাম।