অবশেষে নিলামের ৫ ফুটবলার ব্রাদার্সে
প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
অনেক অপেক্ষা ও নানা আলোচনা-সমালোচনার পর বাফুফের এলিট একাডেমির পাঁচ ফুটবলার ব্রাদার্স ইউনিয়নে যোগ দিয়েছেন। সোমবার তারা ক্লাবের হয়ে অনুশীলনও করেছেন। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়-ব্রাদার্স ও ফেডারেশনের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় সংকট দূর হয়েছে।
এলিট একাডেমির ১০ ফুটবলারদের নিলামে তুলেছিল বাফুফে। আবাহনী, বসুন্ধরা কিংস, ফর্টিজ ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র অর্থ পরিশোধ করে খেলোয়াড় ক্যাম্পে নিয়েছে। নিলামকৃত অর্থের ৬০ শতাংশ পাবে ফেডারেশন বাকি ৪০ শতাংশ ফুটবলার। ব্রাদার্স ইউনিয়ন দাবি তুলেছিল, খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে না আসলে অর্থ প্রদান করবে না। অন্যদিকে বাফুফে খেলোয়াড়দের অংশ অন্তত না দিলে ছাড়া হবে না এমন অবস্থানে ছিল। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানে এই ফুটবলারদের লিগের প্রথম লেগে খেলা হয়নি।
মধ্যবর্তী দলবদলে ওই ফুটবলারদের অন্য ক্লাবে দেওয়ার একটা আলোচনা ছিল। কিন্তু তারা ব্রাদার্সের নিবন্ধিত হওয়ায় অন্য ক্লাবে খেলানো সম্ভবপর হয়নি। ব্রাদার্সের ইউনিয়নের শীর্ষ দুইজন কর্মকর্তা আবার বাফুফের নির্বাহী কমিটিতেও আছেন। এরপরও এমন জটিলতা হওয়ায় ফুটবলাঙ্গনে নানা সমালোচনা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খেলেয়াড়দের স্বার্থ বিবেচনা করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সম্প্রতি নির্বাহী কমিটির ভোটাভুটির ওপর ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সামনে বাফুফে নির্বাচন থাকায় অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপের ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছেন। এরপরও ফুটবলারদের ব্রাদার্সে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে মত পড়েছে।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন নিলামে ছয়জন ফুটবলার নিয়েছিল। এর মধ্যে রুবেল শেখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। বাকি পাঁচজন ফুটবলার ব্রাদার্সের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। বাকি পাঁচজনের নিলামকৃত অর্থ ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিগ, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ ফি বাবদ ফেডারেশনের কাছে পাওনা রয়েছে বেশ কয়েক লাখ টাকা। ফেডারেশন সেই অংশ কেটে রেখে কিছু অংশ খেলোয়াড়দের প্রদান করবে।
ব্রাদার্সের নিলামের খেলোয়াড়রা
৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মিরাজুল ইসলাম (ফরোয়ার্ড)
৪ লাখ টাকা, সুমন সরেন (ফরোয়ার্ড)
৪ লাখ টাকা, সিরাজুল ইসলাম রানা (লেফটব্যাক)
৪ লাখ টাকা, রুবেল শেখ (রাইটব্যাক)
৪ লাখ টাকা, ইমরান খান (সেন্টারব্যাক)
১০ লাখ টাকা, আজিজুল হক অনন্ত (সেন্টারব্যাক)।