মাঠের ক্রিকেটের মতো মাঠের বাইরেও পাকিস্তান ক্রিকেটের অননুমেয় চরিত্র ফুটে উঠল আবার। গত নভেম্বরে তুমুল আলোচনা-সমলোচনার জন্ম দিয়ে শেষ হয়েছিল যার অধিনায়কত্ব, সেই বাবর আজমকে আবার সাদা বলের ক্রিকেটের দুই সংস্করণের নেতৃত্বে আনা হলো। শাহিন শাহ আফ্রিদির টি২০ অধিনায়কত্বের অধ্যায় শেষ হলো এক সিরিজেই।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড রোববার সামাজিক মাধ্যমে জানায়, নির্বাচক কমিটির সর্বসম্মত পরামর্শে বাবর আজমকে সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। শহিন আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনটা অবশ্য কয়েক দিন ধরেই চলছিল। বাবর নেতৃত্ব ফিরে পেতে পারেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছিল পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে। সেটিই এখন সত্যি হলো।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর ১৫ নভেম্বর সব সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন বাবর। যদিও নেতৃত্ব ছাড়তে তিনি খুব একটা ইচ্ছুক ছিলেন না বলেই জানিয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, বোর্ডের চাপেই মূলত তিনি ছাড়তে বাধ্য হন। পরে টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয় শান মাসুদকে, টি২০'র দায়িত্ব পান আফ্রিদি। ওয়ানডে ম্যাচ তখন ছিল না বলে কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে আফ্রিদি ওয়ানডে দলেরও দায়িত্ব পাবেন বলে একরকম নিশ্চিতই ছিল।
সেই চিত্র বদলে গেছে দ্রম্নতই। নভেম্বরে আফ্রিদির নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড সফরে টি২০ সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এবারের পাকিস্তান সুপার লিগে আফ্রিদির নেতৃত্বেই চরমভাবে ব্যর্থ হয় লাহোর কালান্দার্স। এর মধ্যে বোর্ডেও বড় পালাবদল ঘটে যায়। দায়িত্বে আসেন মহসিন নাকভি। নেতৃত্বে পালাবদলের প্রেক্ষাপট তাতে রচিত হয়ে যায়।
গত সপ্তাহে মহসিন নাকভি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আগামী টি২০ বিশ্বকাপে আফ্রিদির নেতৃত্ব দেওয়া নিশ্চিত নয়। বরং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে কাউকে দায়িত্বে
আনতে চান তারা। আফ্রিদির অধিনায়কত্বের শেষের ইঙ্গিত মেলে তখনই। সেটিই
এবার বাস্তব রূপ পেল।
বিশ্বকাপের পর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি পাকিস্তান। এই সংস্করণে তাই ছেড়ে দেওয়া নেতৃত্ব সরাসরিই ফিরে পেলেন বাবর। পুরনো দায়িত্বে বাবরের নতুন পথচলা শুরু হবে দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। আগামী ১৮ এপ্রিল শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজ। প্রথম তিনটি ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে, পরের দুটি লাহোরে।