সংবাদ সংক্ষেপ
হকি সংগঠক ইউসুফ আর নেই
প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
করিতকর্মা সংগঠক হিসেবে মোহাম্মদ ইউসুফের সুনাম ছিল। বিশেষ করে হকির প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অন্যরকম। চট্টগ্রামের এই সংগঠককে এখন হকি ফেডারেশন কিংবা আর কোথাও দেখা যাবে না। শনিবার সকালে অন্যলোকে পাড়ি জমিয়েছেন সদা হাস্যোজ্জ্বল ইউসুফ। মৃতু্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
বেশ কিছুদিন ধরেই ডায়াবেটিসসহ নানা রকমের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন ইউসুফ। এর ওপর দুই দিন আগে হার্টে বস্নক ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকরা ইউসুফের হার্টে রিং পরিয়েছিলেন। ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয় আইসিইউতে। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেননি। না ফেরার দেশে চলে গেছেন ইউসুফ।
চট্টগ্রাম হকি কেন্দ্রের কোচ মহসিন উল হক চৌধুরী ইউসুফের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, 'অসুস্থ অবস্থায় ইউসুফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সকালে আমরা তার মৃতু্যর খবর পেয়েছি।'
শনিবারই বাদ আসর চট্টগ্রামের সিডিএ মসজিদে তার নামাজে জানাজা হবে বলেও জানান তিনি। এরপর চট্টগ্রাম শহরের হযরত গরীবউলস্নাহ শাহ (রাঃ) কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে। চিরপ্রয়াণের আগে ইউসুফ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগের কমিটিতে ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সঙ্গে অনেক দিন থেকে জড়িত। তিনি ছিলেন সিজেকেএসের সর্বশেষ নির্বাহী কমিটির সদস্য। ছিলেন চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তাও।
বরেণ্য এই ক্রীড়া সংগঠকের মৃতু্যতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এমপি। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, 'মোহাম্মদ ইউসুফ একজন দেশবরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। দেশের হকির উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য। হকিসহ অন্যান্য খেলাধুলার উন্নয়নে তার যে অনবদ্য অবদান তা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রদীপ্ত হয়ে থাকবে।'
এছাড়াও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, আরচ্যারি ফেডারেশনসহ বিভিন্ন ফেডারেশনও শোক জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, 'তিনি চট্টগ্রামের একজন জনপ্রিয় সংগঠক ছিলেন। চট্টগ্রামের হকিটাকে একলাই বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। হকির চর্চা করতেন। সবচেয়ে বড় কথা পদ পদবির চেয়ে কাজ বেশি পছন্দ ছিল। গত নির্বাচনে যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্য ফরম তুলেও অভিমানে সেটা তুলে নেন। খুব নীরবে নিভৃতে কাজ করতেন। সত্যিকার অর্থে তৃণমূল সংগঠক বলতে যা বোঝায় তিনি সেটাই ছিলেন।'