বড় জয়ে শততম ম্যাচ উদযাপন বসুন্ধরার
জিতেছে আবাহনীও
প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শনিবার ছিল বসুন্ধরা কিংসের বিশেষ একদিন। এই দিন লিগে নিজেদের শততম ম্যাচটি খেলেছে তারা। এমন ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিল অস্কার ব্রম্নজনের শিষ্যরা। শনিবার রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে দুর্বল প্রতিপক্ষ ব্রাদার্সকে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল কিংসরা। একই দিনে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী ৩-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই থাকল আকাশি-নীলরা।
রাজশাহীতে ম্যাচের ১২ মিনিটে রবসন রবিনহোর পাস থেকে বল পেয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে হেড নেন মিগেল দামাসেনো। বল ফিস্ট করেন ব্রাদার্সের গোলরক্ষক। ২০ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে ফ্রি কিকে বক্সে বল পাঠান মিগেল দামাসেনো। বল পেয়ে দুরন্তগতিতে পোস্টের কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সাদ উদ্দিন (১-০)। তবে গোল করার মুহূর্তেই প্রতিপক্ষের ফুটবলার পাপা মুসার সঙ্গে ধাক্কা লাগে সাদের। দুই দলের দুই ফুটবলারই বেশ চোট পাওয়াতে ফিজিওকে ডাকা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য সুস্থ হয়ে খেলায় ফেরেন তারা। ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগে বল পেয়ে যায় কিংসরা। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে কিংসের ব্রাজিলিয়ান মিগেলের ছোট করে বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ডান পায়ের মাপা শটে গোল আদায় করে নেন আরেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবসন রবিনহো (২-০)। ৩৭ মিনিটে রাকিবের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ডানপ্রান্ত ধরে এগিয়ে যান রিমন। তার কাটব্যাকে বা পায়ের জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিগেল দামাসেনো (৩-০)। ৪১ মিনিটে বক্সের বা প্রান্ত থেকে রবিনহোর জোগান দেওয়া বলে ব্রাদার্সের জাল কাঁপান এমফন উদোহ (৪-০)। একহালি গোল হজমের পর ম্যাচের ধারার বিপরীতে একটি গোল পায় ব্রাদার্স। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+২) মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মাহবুবুর রহমান সুফিলের পাসে পোস্টের কাছ থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাদার্সের এলিটা কিংসলে (৪-১)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বসুন্ধরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই আরও একটি গোল আদায় করে নেয় তারা। বক্সের ডান প্রান্তে জটলার মধ্যে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে দারুণ একটা ক্রস করেছিলেন ইব্রাহিম। সেটি বলতে গেলে গোলই ছিল। ডান পোস্টের কাছ থেকে ফাইনাল টাচে গোল নিশ্চিত করেন সোহেল রানা (৫-১)। ৫৮ মিনিটে বল নিয়ে দ্রম্নতগতিতে ছুটে ব্রাদার্সের বক্সে ঢুকে শট নেন এমফন উদোহ। কিন্তু তার নিশ্চিত গোলটি বা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ভুল করেননি পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মিগেল। ফিরে আসা বলটি জালে ঠেলে দিয়ে নিজের গোলের জোড়া পূরণ করেন মিগেল দামাসেনো (৬-১)। ৬৯ মিনিটে আরও একটি জোড়া গোল হয় বসুন্ধরার। আক্রমণের শুরু মাঝ মাঠ থেকে। নিজেদের মধ্যে বল আদান-প্রদান করতে করতে এগিয়ে যান অস্কার ব্রম্নজনের শিষ্যরা। বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে ব্রাদার্সের জাল কাঁপান এমফন উদোহ (৭-১)। এই গোলেই জয় উৎসব করে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।
অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে প্রথম গোলের দেখা পেতেই আবাহনীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫৮ মিনিট। ৫৯ মিনিটে রহমতগঞ্জের জালে বল পাঠান আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়াশিংটন (১-০)। ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেন্ট ভিনসেন্টের ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট (২-০)। ৬৩ মিনিটে জনাথন ফার্নান্দেজের গোলে আবাহনীর জয় নিশ্চিত হয় (৩-০)।