ম্যাচের শুরুর দিকেই বাজল পেনাল্টির বাঁশি, নিখুত শটে জালে বল পাঠালেন স্পেনের রদ্রি। চাপ ধরে রেখে দ্বিতীয় গোলও আদায় করে নিল স্পেন। এরপরই উনাই সিমোনের একটি ভুল এবং ব্রাজিলের লড়াইয়ে ফেরা। উজ্জীবিত দলকে মাঠে নেমেই উৎসবের উপলক্ষ এনে দিলেন ব্রাজিলের তরুণ ফরোয়ার্ড এন্দ্রিক। এরপরও হারের পথেই ছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। একেবারে শেষ সময় লুকাস পাকেতার গোলে স্বস্তি নিয়ে ফিরল ব্রাজিল। সান্তিয়াগো বার্নাবু্যয়ে মঙ্গলবার রাতের দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ও স্পেনের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে।
ফুটবল পরাশক্তির জমজমাট লড়াইয়ে মোট তিনটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। দুটি পায় স্প্যানিশরা, একটি ব্রাজিলিয়ানরা। স্বাগতিকদের হয়ে স্পট-কিক থেকে জোড়া গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রি। অন্যটি আসে আরবি লিপজিগের উইঙ্গার দানি অলমোর পা থেকে। ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পাকেতা ছাড়া রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বজয়ীদের বাকি দুই গোলদাতা হলেন রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার রদ্রিগো ও পালমেইরাসের স্ট্রাইকার এন্দ্রিক।
ম্যাচের আগে 'এক ত্বক, একই পরিচয়' স্স্নোগানে ছড়িয়ে দেওয়া হলো বর্ণবাদ বিরোধী বার্তা। জাতীয় সঙ্গীতের সময় ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা পরেন প্রতিবাদের কালো রংয়ের জার্সি। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের প্রীতি ম্যাচে খেলা শুরুর একাদশে ১০ পরিবর্তন এনে দল সাজান স্পেন কোচ। অন্যদিকে, ব্রাজিল কোচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা ম্যাচের একাদশকে রাখেন অপরিবর্তিত।
ম্যাচ শুরু হতেই বাজে ফাউলের বাঁশি। ১২ সেকেন্ডের মাথায় ব্রাজিলের সীমানায় তরুণ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামালকে ফাউল করেন ডিফেন্ডার জোয়াও গোমেজ। ওই ফ্রি কিকে উলেস্নখযোগ্য কিছু না হলেও, ১০ মিনিট পর আবার ফাউল করে বিপদ ডেকে আনেন গোমেজ। এবার তিনি ডি-বক্সে ফাউল করেন ইয়ামালকে। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মাঝ বরাবর স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রদ্রি। ৩৬ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওলমো। ইয়ামালের পাস ডি-বক্সে পেয়ে ঠান্ডা মাথায় প্রথমে ডিফেন্ডার লুকাস বেরাল্দু এবং পরে ব্রম্ননো গিমারেসকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন লিপজিগের মিডফিল্ডার ওলমো।
দুই গোলের ব্যবধান অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৪০তম মিনিটে ভীষণ বাজে একটি ভুল করে বসেন উনাই সিমোন। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে আরেক সতীর্থকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টায় রদ্রিগোর পায়ে বল তুলে দেন অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের গোলরক্ষক। এমন উপহার পেয়ে কোনো ভুল করেননি রদ্রিগো। অনেকখানি এগিয়ে থাকা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।