মাঠে ফিরেই মাশরাফির পাঁচ উইকেট
প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আসর ভালো যায়নি। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে খেলছিলেন, কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। তার অধিনায়কত্বে টানা ম্যাচ হেরেছে সিলেট। ম্যাচ খেলার মতো ফিট না হয়েও মাঠে নামায় ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন মাশরাফি। শেষ পর্যন্ত বিপিএল মাঝপথে রেখেই রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে চলমান ডিপিএলে রাজকীয়ভাবেই ফিরেছেন মাশরাফি।
বৃহস্পতিবার বিকেএসপির মাঠে গাজী গ্রম্নপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে লড়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রূপগঞ্জ। বল হাতে নিয়ে এদিন আগুন ঝরিয়েছেন মাশরাফি। নড়াইল এক্সপ্রেসের তোপে মাত্র ১১২ রানে ৯ উইকেট হারায় গাজী গ্রম্নপ। মাশরাফির তোপে ১৩৬ রানে অলআউট হয় গাজী। জবাবে রূপগঞ্জ ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তাতে ৬ উইকেটে জয়লাভ করে মাশরাফির দল। রূপগঞ্জের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি।
প্রীতম কুমারকে ১৪ রানে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন মাশরাফি। নিজেই ক্যাচ নিয়েছেন প্রীতমের। এরপর একে একে ফেরান সাব্বির হোসেন শিকদার, ফয়সাল আহমেদ রায়হান, মঈন খান ও মাহফুজুর রহমান রাব্বিকে।
এদিন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে চলতি ডিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন মাশরাফি। আর খেলতে নেমেই দেখালেন চমক। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রম্নপ খুব একটা খারাপ খেলছিল না। ১৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান তুলেছিল তারা।
দলীয় ১৯ রানে মেহেদী মারুফ প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন। আব্দুল হালিমের বলে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি। মাশরাফি শিকার শুরু করেন ১১তম ওভার করতে এসে। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান প্রিতম কুমারকে। ১৬তম ওভারের শেষ বলে নিহাদ উজ জামান ফেরান ৩৬ বলে ৬ চারে ৪১ রান করা আনিসুল হককে। গাজী গ্রম্নপের সংগ্রহ তখন ১৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৮২।
১৭তম ওভারে বল করতে আসেন মাশরাফি। আর এই ওভারেই পথ হারায় গাজী গ্রম্নপ। মাশরাফির এক স্পেলেই দুমড়ে-মুচড়ে যায় তারা। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ৬ রান করা সাব্বির হোসেনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ম্যাশ। একই ওভারের শেষ বলে রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় থাকা ফয়সাল আহমেদকেও আউট করেন তিনি।
এর পরের ওভারে আরও এক উইকেট শিকার করেন মাশরাফি। এবার তার শিকার ১ রান করা মঈন খান। দেখতে দেখতে গাজী গ্রম্নপ ৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। মাশরাফি ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহফুজুর রাব্বিকে ফিরিয়ে। ২৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ৬ রান করা রাব্বিকে নিহাদ উজ জামানের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
১১১ রানে পারভেজ জীবন ও ১১২ রানে আল আমিন জুনিয়রও বিদায় নেন। শেষ উইকেট জুটিতে রুয়েল মিয়া ও মাসুম খান ২৪ রান যোগ করেন। ৩০ বলে ১১ রান করেন মাসুম। রুয়েল ৫ রান করে শুভাগত হোম চৌধুরীর শিকারে পরিণত হলে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রম্নপ।
মাশরাফি ৫ উইকেট শিকার করতে ৮ ওভারে মাত্র ১৯ রান দেন। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে মাশরাফির এটি অষ্টম ফাইফার। সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন ২৬ রান দিয়ে। দলের পক্ষে মাশরাফি ছাড়া সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আব্দুল হালিম। এছাড়া শুভাগত হোম ও নিহাদ উজ জামান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।