অবসর ভেঙে শ্রীলংকার টেস্ট দলে ফিরলেও এখনই সাদা পোশাকে মাঠে নামতে পারছেন না ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আইসিসির আচরণবিধি ভাঙায় বড় শাস্তি পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজে নিষিদ্ধ থাকবেন এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আইসিসির আচরণ বিধির ২.৮ ধারা লঙ্ঘন করেন হাসারাঙ্গা। যেখানে বলা হয়েছে, 'আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রদর্শন' করার বিষয়টি।
স্বাগতিকদের রান তাড়ায় ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ঘটে এই ঘটনা। ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে দেন হাসারাঙ্গা। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে মুখোমুখি প্রথম বলেই লঙ্কান স্পিনারকে ছক্কায় ওড়ান রিশাদ হোসেন। পরের বলটি ব্যাটে খেলতে পারেননি রিশাদ, বল আঘাত করে প্যাডে। লঙ্কানদের এলবিডবিস্নউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে শ্রীলংকা রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি, আসে 'আম্পায়ার্স কল।' তখনই অসন্তোষ জানাতে দেখা যায় হাসারাঙ্গাকে। ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে হাসারাঙ্গাকে চার ও ছক্কা মারেন রিশাদ।
ওভার শেষে কিছুটা ক্ষোভ দেখিয়েই আম্পায়ারের থেকে নিজের ক্যাপ টান দিয়ে নিয়ে নেন হাসারাঙ্গা। সঙ্গে আম্পায়ারিং নিয়ে উপহাস করেন তিনি। এমন আচরণের কারণে মঙ্গলবার তার শাস্তির ঘোষণা দেয় আইসিসি। ম্যাচ ফির অর্ধেক জরিমানা করার পাশাপাশি হাসারাঙ্গাকে দেওয়া হয় তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। ২৪ মাসের মধ্যে তার নামের পাশে এ নিয়ে যুক্ত হলো আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে কোনো ক্রিকেটার আটটি ডিমেরিট পেলে শাস্তি হিসেবে তাকে চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট দেওয়া হয়। অর্থাৎ দুটি টেস্ট কিংবা চারটি ওয়ানডে বা চারটি টি২০-তে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিন সংস্করণের মধ্যে দলের যে খেলা আগে আসে, সেখানে খেলতে পারেন না শাস্তি পাওয়া ক্রিকেটার।
গত বছরের আগস্টে আচমকা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। অবসর ভেঙে সোমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ঘোষিত শ্রীলংকা টেস্ট দলে ফেরেন তিনি। পরদিনই এলো নিষেধাজ্ঞার খবর। আচরণবিধি ভাঙার কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি২০ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও নিষিদ্ধ ছিলেন হাসারাঙ্গা। নামের পাশে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।