প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আজ সকালে ওয়ানডে সিরিজের মধ্য দিয়ে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তারপর তিনটি টি২০ খেলবে দুই দল। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় কি না? জবাবে বলেন, 'দেখেন অবশ্যই, তারা বেটার সাইড বিশ্বের এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে খেলা বড় একটা অভিজ্ঞতা দলের জন্য। আমরাও যেভাবে খেলে আসছি, গত ৬/৭ মাস ক্রিকেট খেলছি, তারা অবশ্যই আমাদের হালকাভাবে নেয়নি। আর যদি তাদের স্কোয়াড দেখি, তারা অনেক শক্তিশালী স্কোয়াড।'
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বরাবরই ভালো দল। বিশেষ করে মিরপুরের উইকেটে সাম্প্রতিক সাফল্য দারুণ। পাকিস্তান ও ভারতের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। সামর্থ্য ও শক্তির দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও কন্ডিশনের কারণে নিজেদের এগিয়ে রাখলেন জ্যোতি, 'প্রথমত হচ্ছে হোম কন্ডিশন, আমার মনে হয় কন্ডিশনের দিক থেকে তারা অনেক বেশি অচেনা।'
জ্যোতি আরও যোগ করেন, 'সম্প্রতি তাদের অনেকগুলো পেস্নয়ার কিন্তু আইপিএল খেলে আসছে। তো বাংলাদেশ এবং ভারতের উইকেট একই থাকে। তারা একটু হলেও জানে যে কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে।'
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের উন্নতির সবচেয়ে বড় দিকটা উন্মোচন করলেন জ্যোতি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, 'যদি আমাদের দিক থেকে চিন্তা করি রিসেন্টলি যখন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে খেলে আসছি, আমাদের ব্যাটিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হয়েছে। যখন হোমে খেলেছি ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে, তখন মনে হয়েছে বোলিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী। এটা ভালো দিক দলের জন্য। এখন গুরুত্বপূর্ণ কালকের (বৃহস্পতিবার) দিনে কে কীভাবে, কোন ইউনিট থেকে বেশি কনট্রিবিউট করতে পারে দলের জন্য।'
ঘরের মাটিতে কোথায় এগিয়ে থাকবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা জানতে চাইলে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান বলেন, 'প্রথমত হলো নিজেদের কন্ডিশন। আমার কাছে মনে হয়, কন্ডিশনের দিক থেকে (বাংলাদেশ) তাদের অনেক বেশি অচেনা, কখনই যেহেতু খেলে নাই এখানে। তবে সম্প্রতি তাদের অনেক খেলোয়াড় (মেয়েদের) আইপিএল খেলে এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের উইকেট কিন্তু কম-বেশি প্রায় একই থাকে। তারা একটু হলেও জানে যে কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে।'
আর নিজেদের শক্তির দিকগুলো নিয়ে তিনি যোগ করেন, 'আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছি, আমাদের ব্যাটিংটা অনেক বেশি শক্তিশালী মনে হয়েছে। আবার ঘরের মাঠে যখন ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি, তখন মনে হয়েছে, বোলিংটা শক্তিশালী। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো লক্ষণ যে দুটি বিভাগই ভালো অবস্থানে আছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কালকে কোন ইউনিট দলের জন্য বেশি অবদান রাখতে পারে।'