সৌদি সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা) বাংলাদেশ দলের কুয়েতের ফ্লাইট। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে সাধারণত এক-দেড় ঘণ্টা আগইে বোর্ডিং বন্ধ হয়। বোর্ডিং বন্ধ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের দুই ফুটবলার চন্দন রায় ও রফিক কুয়েতের ভিসা পেয়েছেন।
এই দুইজনের শেষ মুহূর্তের ভিসায় সম্পূর্ণ দলই সৌদি থেকে কুয়েতের ফ্লাইটে উঠেছে। বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টার দিকে চন্দন ও রফিক ছাড়া বাকি সব খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তার ভিসা এসেছিল। গোলরক্ষক মিতুল মারমার ভিসায় খানিকটা ভুল থাকলেও বোর্ডিং, ইমিগ্রেশনে তেমন সমস্যা হয়নি বলে জানা গেছে।
কুয়েতের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ দল বেশ ঝক্কি পোহাল। এক মাস আগে কুয়েত ফুটবল ফেডারেশনকে বাফুফে দলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিয়েছে। এরপরও একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ভিসা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। কুয়েত ফুটবল ফেডারেশন বাফুফেকে নিশ্চয়তা দিয়েছিল কুয়েত সময় রাত ৯টার মধ্যে ভিসা প্রদানের। সেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বাফুফে গভীর শঙ্কার মধ্যে পড়ে। অবশেষে কুয়েত সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই ফুটবলার বাদে সবার ভিসা পায় বাফুফে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক রাতে নির্ঘুম থেকে সারাক্ষণ কুয়েত-সৌদি যোগাযোগ করেছেন।
২১ মার্চ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ফিলিস্তিনের হোম ম্যাচ কুয়েতে হবে। তাই বাংলাদেশ দল সৌদিতে ক্যাম্প করে কুয়েতে যাচ্ছে ম্যাচ খেলতে।
এএফসি-ফিফা ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে সফরকারী দলের ব্যয় বহন করে। সেই হিসেবে রোববার ও সোমবার কুয়েতে অবস্থানের ব্যয় বাফুফেকেই বহন করতে হবে।