ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের প্রতি মনোযোগ দিতে বিসিসিআইয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুনিল গাভাস্কার। বিশেষ করে, প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফির ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির এই ব্যাটিং গ্রেট। তার মতে, পারিশ্রমিক বেশি হলে এই প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানো ক্রিকেটারের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
সপ্তাহ-খানেক আগে টেস্ট ক্রিকেটারদের জন্য ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে একটি 'প্রণোদনা স্কিম' চালু করার ঘোষণা দিয়েছে বিসিসিআই। মৌসুমে অর্ধেকের বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের নির্ধারিত ম্যাচ ফির পাশাপাশি প্রতি ম্যাচের জন্য ৩০ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। আর ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের দেওয়া হবে ৪৫ লাখ রুপি করে।
শুধু তাই নয়, একাদশে সুযোগ না পাওয়াদের জন্যও রয়েছে প্রণোদনা। মৌসুমে অর্ধেকের বেশি টেস্টের দলে থাকাদের ১৫ লাখ ও ৭৫ শতাংশের বেশি ম্যাচের দলে থাকাদের সাড়ে ২২ লাখ করে দেওয়া হবে প্রতি ম্যাচের জন্য। বিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগ বেশ ভালো লেগেছে গাভাস্কারের। তবে টেস্ট ক্রিকেটার গড়ে ওঠার মূল স্তম্ভ রঞ্জি ট্রফির দিকে এবার নজর দিতে বললেন তিনি।
গাভাস্কারের 'চ্যাম্পস' ফাউন্ডেশনের ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রঞ্জির ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ করা উচিত ভারতীয় বোর্ডের। যারা (টেস্ট) খেলবে তাদেরকে পুরস্কৃত করার জন্য বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দারুণ একটি উদ্যোগ। তবে আমি বিসিসিআইকে এটাও অনুরোধ করব, টেস্ট দলের মূল সরবরাহকারী রঞ্জি ট্রফির দিকেও যেন নজর দেওয়া হয়।
রঞ্জি ট্রফির পারিশ্রমিক যদি দ্বিগুণ বা তিনগুণ করা যায়, অবশ্যই রঞ্জি ট্রফিতে খেলার জন্য আরও অনেক বেশি ক্রিকেটার থাকবে এবং রঞ্জি ট্রফি থেকে অনেক কম ক্রিকেটার নাম প্রত্যাহার করে নেবে। কারণ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার ফি যদি ভালো হয়, তাহলে বিভিন্ন কারণে কম ক্রিকেটার সরে দাঁড়াবে।'
রঞ্জি ট্রফিতে দুই ম্যাচের মাঝে খুব বেশি বিরতি পান না ক্রিকেটাররা। এনিয়ে অনেক ক্রিকেটারই জানিয়েছেন আপত্তি। গাভাস্কারও বলেন, এই জায়গায়ও নজর দেওয়া দরকার বিসিসিআইয়ের। এছাড়া জানুয়ারির বদলে অক্টোবরে ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টটি শুরু করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।