প্রথম লেগেই গোলের জোয়ারে স্পার্তা প্রাহাকে ভাসিয়ে দিয়েছিল লিভারপুল। দ্বিতীয় লেগে সেই স্রোতের তীব্রতা বাড়ল আরও। দুই লেগ মিলিয়ে যা হলো, সেটিকে বলা যায় গোলের পস্নাবন। সেই উৎসবে শামিল হয়ে মোহাম্মদ সালাহ নিজের নাম লেখালেন ইতিহাসে। উয়েফা ইউরোপা লিগে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের মাঠে স্পার্তাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। প্রথম লেগে স্পার্তার মাঠে তারা জিতেছিল ৫-১ গোলে। ইয়ুর্গেন ক্লপের দল কোয়ার্টারফাইনালে পা রাখল ১১-২ গোলের অগ্রগামিতায়।
দ্বিতীয় লেগের বিশাল জয়ের পথে একটি গোল করে অনন্য নজির গড়েন সালাহ। এই গোলেই মৌসুমে ২০ গোল পূর্ণ হয় তার। লিভারপুলের সুদীর্ঘ ইতিহাসে টানা সাত মৌসুমে অন্তত ২০ গোল করা প্রথম ফুটবলার তিনিই। আর এই ম্যাচে তিনটি গোলে সহায়তাও করেছেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড। এক মৌসুমে অন্তত ২০ গোল করা ও ১০ গোলে সহায়তার যুগলবন্দি করে দেখালেন তিনি ছয় মৌসুমে। একবিংশ শতাব্দীতে এই কীর্তিতে তার ওপরে আছেন কেবল লিওনেল মেসি (১৩ মৌসুম), লুইস সুয়ারেজ (৯ মৌসুম) ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৯ মৌসুম)।
প্রথম লেগে বিধ্বস্ত হওয়া স্পার্তা দ্বিতীয় লেগেও কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। বরং খেলার শুরুতেই আক্রমণের সুনামিতে তাদের রক্ষণভাগ ভাসিয়ে দেয় লিভারপুল। ১৪ মিনিটের মধ্যেই গোল হয়ে যায় চারটি! ডারউইন নুনেজ গোল করেন সপ্তম মিনিটে, পরের মিনিটেই ববি ক্লার্ক। সালাহর গোলটি আসে দশম মিনিটে। গত জানুয়ারির আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স থেকে চোট নিয়ে ফেরার পর বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন সালাহ।
পরে স্পার্তার বিপক্ষে প্রথম লেগে ও গত রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি বদলি হিসেবে। এবার এই ম্যাচ দিয়ে শুরুর একাদশে ফিরেই গোল পেলেন শুরুতে। তার গোলের মিনিট চারেক পর গোল করেন কোডি হাকপো। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি গোল শোধ করতে পারে স্পার্তা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মধ্যে আরও একটি গোল করেন হাকপো, আরেকটি করেন দমিনিক সোবোসলাই।