শ্রীলংকার বিপক্ষে শুক্রবার খেলতে নামার আগে সৌম্য সরকারের নামের পাশে ছিল ১ হাজার ৯৪৪ ওয়ানডে রান।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৮ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৬৬ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১১ চার ও ১ ছক্কা। এই ইনিংসের পথে পূর্ণ হয়ে যায় তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২ হাজার রান। এর ফলে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে কম ইনিংসে ২ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন তিনি।
সৌম্য ২ হাজার রান করেছেন ৬৪ ইনিংসে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে চার হাঁকিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ৯৭.৪৮ স্ট্রাইকরেটে এখন তার নামের পাশে আছে ২ হাজার ১২ রান। ৬৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১২টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি।
সৌম্যর আগে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রম্নততম ২ হাজার ওয়ানডে রান করার রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে শাহরিয়ার নাফিস ও লিটন দাসের দখলে। দুজনই ৬৫ ম্যাচের ৬৫ ইনিংসে ২ হাজার রান পূর্ণ করেন। সাকিব আল হাসান ২ হাজার রান পূর্ণ করেন ৬৯ ইনিংসে। তামিম ইকবাল এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন ৭০ ইনিংসে।
২০১১ সালে এ মাঠেই সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন। সেই কীর্তি টিকেছিল এক যুগ। গত বছর লিটন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাফিসের পাশে বসেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এর এক বছরের মধ্যেই তাদের টপকে গেলেন সৌম্য।
ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রম্নততম ২ হাজার রান করার রেকর্ডটি ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিলের দখলে। মারকুটে এ ওপেনার মাত্র ৩৮ ইনিংসে ব্যাট করে ২ হাজার রান পূর্ণ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার হাশিম আমলা ২ হাজার ওয়ানডে রান করেছিলেন ৪০ ইনিংসে।
সৌম্য সরকার রান পাননি প্রথম ওয়ানডেতে। এর পরও টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা ছিল তার ওপর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসে তার প্রতিদান কিছুটা হলেও ফিরিয়ে দিয়েছেন এই ওপেনিং ব্যাটার। লিটন দাস প্রথম ওভারে ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়েছেন ভালো এক জুটি। এরপর পেয়েছেন ফিফটির দেখাও।
কিছুটা ধীরগতির ইনিংসই খেলেছেন। দেখেশুনে থিতু হয়ে, তবেই ব্যাট চালিয়েছেন সৌম্য। চলিস্নশের পর থেকে কিছুটা সময় নিলেও ফিফটির ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেছেন এই অলরাউন্ডার। চার মেরে পূর্ণ করেছেন নিজের অর্ধশতক। ৫২ বলে স্পর্শ করেছেন ফিফটি। অর্ধশতকের পথে মেরেছেন ৯টি চার। এটি সৌম্যর ক্যারিয়ারে ১২তম অর্ধশতক।