বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নিজেদের প্রমাণ করেই মূল দলে জায়গা চান তরুণ ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সৌদিতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন -বাফুফে

সৌদিতে চলছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। সেখানের আবহাওয়া আর কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার ট্যাকটিকসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন দলের ফুটবলাররা। বিশেষ করে প্রথমবার ডাক পাওয়া তরুণ ফুটবলাররা নিজেদের প্রমাণ করে টিকে থাকতে চাইছেন মূল স্কোয়াডে। বৃহস্পতিবার সুদানের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। এর আগে অনুশীলন শেষে ভিডিও বার্তায় জাতীয় দলের ক্যাম্পিংয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন দলের তিন তরুণ ফুটবলার।

মিডফিল্ডার শাহ কাজেম কিরমানি বলেন, 'আমি ফুটবল শুরু করেছি কানাডাতে। যখন আমার দশ বছর বয়স তখন থেকে ফুটবল খেলি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও খেলেছি। বাংলাদেশে আমি এসেছি যখন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ হয়েছে। ২৩ বছর বয়সে পুলিশ ফুটবল ক্লাবে যোগ দেই। আমি অনেক ফুটবলারকেই আগে চিনতাম না। হাতে গোনা দু'তিনজনের সঙ্গে পরিচয় ছিল। তবে ধীরে ধীরে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি। গ্রম্নপের সবাই খুবই ফ্রেন্ডলি, খুবই ভালো একটা দল।'

'প্রতিদিন ট্রেনিংয়ে নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করছি। আমি যেটা করতে পারি সেটাই করি। আশা করি, আস্তে আস্তে আলস্নাহ ভালো কিছুই দেবে। ২০-২১ বছর বয়সে বাংলাদেশে আসার চিন্তাটা হয়েছিল। এর আগে আমার জানা ছিল না আমি বাংলাদেশে আসতে পারি, জাতীয় দলে খেলব। এক মৌসুম পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, এটা ভালো হয়েছে।' যোগ করেন এই ফুটবলার।

আরেক তরুণ ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ রাব্বী হোসেন রাহুল বলেন, 'জাতীয় দলে ডাক পাব প্রথমে এটা প্রত্যাশা ছিল না। আমি এ বছর প্রথমবার বিপিএলে খেলতে এসেছি, আমার লক্ষ্য ছিল পুরো লিগ খেলব এবং আমি দশটা গোল করব। তাহলে হয়তো কোচ আমাকে ডাকবে। কিন্তু প্রথম লেগেই আমি আলস্নাহর রহমতে ৫টা গোল করেছি। যখন ৫টা গোল হয়ে গেছে তখন আমার আশা ছিল যে, কোচ হয়তো আমাকে ডাকবে।'

নিজের ফুটবলার হয়ে উঠার গল্পটাও সংক্ষেপে জানালেন রাব্বী, '২০১৬ সালে বেনাপোলে আলহাজ নূর ইসলাম ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি হয়। সেখানে আমাদের দেশসেরা সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন স্যার তার বাবার নামে অ্যাকাডেমি করেন। কোচ হিসেবে সাব্বির আহমেদ পলাশ স্যারকে নিয়ে আসেন। অ্যাকাডেমি থেকেই ২০১৭ সালে পাইওনিয়ার খেলেছি। এরপর থার্ড ডিভিশন, স্কুল টুর্নামেন্ট, ১৪ অ্যাকাডেমি কাপ, বিসিএল এরপর বিপিএলে খেলি।'

ক্লাবের সঙ্গে জাতীয় দলের ট্রেনিংয়ের পার্থক্যটা কতটা বুঝতে পারছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই ফুটবলার বলেছেন, 'অবশ্যই ক্লাব থেকে এখানে ট্রেনিং আলাদা। আমি ব্রাদার্সে যে ট্রেনিং করেছি আর এখানে যে ট্রেনিং সম্পূর্ণই আলাদা। এখানে ইন্টেন্সিটি অনেক হাই। প্রথমে কয়েকদিন একটু কষ্ট হয়েছে। এরপর মানিয়ে নিয়েছি। আমার জন্য পজিটিভ দিক হচ্ছে আমি যেহেতু বসুন্ধরা কিংসে অনেকদিন ট্রেনিং করেছি। সে কারণে আমি এখানে অনেকটা কমফোরটেবল।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে