শুক্রবার অর্থাৎ আগের দিন তিন উইকেট নিয়েছিলেন ম্যাট হেনরি। শনিবার আরও চার উইকেট তুলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্রম্নতচলনশীল দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন কিউই পেসার। তার পর ওপেনার উইল ইয়াংকে দ্রম্নত হারালে কিউইদের লড়াই অব্যাহত থেকেছে কেন উইলিয়ামসন ও টম ল্যাথামের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে। দুই উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিক দল। কিউইরা এখনো ৪০ রানে পিছিয়ে। কেন ৫১ রানে আউট হলেও ক্রিজে আছেন ল্যাথাম (৬৫*) ও রাচিন
রবীন্দ্র (১১*)।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড শুরুতেই ধাক্কা খায় ওপেনার উইল ইয়াংয়ের বিদায়ে। তৃতীয় ওভারে তাকে গস্নাভসবন্দি করান মিচেল স্টার্ক। তার পর চা বিরতি পর্যন্ত লড়াই করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন উইলিয়ামসন ও টম ল্যাথাম। তাদের জুটি ১০৫ রান যোগ করেছে। সিরিজে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল কিউই ব্যাটিং। আগের তিন ইনিংসে ২০০ পার করতে পারেনি। উইলিয়মাসনও করতে পেরেছেন ২৬ রান! কিন্তু শততম টেস্ট বলেই দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। উপহার দেন ট্রেডমার্ক কিছু শট। এই সময়ে লেগ বিফোর হওয়া থেকেও বেঁচেছেন যদিও।
অস্ট্রেলিয়া লাঞ্চের পর পরই ২৫৬ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে। ২৩ ওভারে ৬৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে তাদের তিনশর আগে বেঁধে ফেলতে বড় অবদান রাখেন হেনরি। অজিদের বিপক্ষে যা নিউজিল্যান্ড কোনও বোলারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং! তার আগে রয়েছেন স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। ১৯৮৫ সালে গ্যাবায় ৫২ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার চার উইকেটে ১২৪ রান দিয়ে দিন শুরু করেছিল। লাবুশেন অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে। অজিদের হয়ে এদিন একাই লড়াই করেন তিনি। দুর্ভাগ্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে সাউদির বলে ৯০ রানে আউট হয়েছেন। এছাড়া উলেস্নখযোগ্য ইনিংস বলতে মিচেল স্টার্কের ২৮ ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ২৩ রান।