সৌদির আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় বাংলাদেশ দল
প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক
২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে আগামী ২১ মার্চ কুয়েতে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে সৌদি আরবে ক্যাম্প করছে দল। কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটি গ্রাউন্ডে রোববার থেকে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ। শুরুতে টেকনিক্যাল দিকগুলোকে প্রধান্য দিচ্ছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। নজর দিচ্ছেন রক্ষণভাগ ও অ্যাটাকিং লাইনেও। দলের দুই ফরোয়ার্ড রাকিব ও ইমন জানালেন সৌদির আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে আসন্ন ম্যাচে সেরাটা দিতেই প্রস্তত হচ্ছেন তারা। মূলত সৌদি ও কুয়েতের আবহাওয়া অনেকটা এক ধরনের হওয়াতেই সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ দল।
মঙ্গলবার বাফুফের পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেছেন, 'আজকের দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভালোভাবেই শুরু করেছি। মূলত আমরা সকালটা শুরু করেছিলাম ইন্ডিভিজু্যয়াল মিটিং দিয়ে। বিকালে আরেকটা সেশন হয়েছিল। সৌদি এসে আমরা ক্যাম্প করছি। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আমাদের যে ম্যাচগুলো রয়েছে, সেই ম্যাচগুলোতে আমাদের যে টার্গেট, সে বিষয়ে প্রত্যেকটি পেস্নয়ারের থেকে কোচ কমিটমেন্ট নিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব লক্ষ্য কি, সেটাও জেনেছেন।'
'আসন্ন দিনগুলোতে আমরা যে ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করব, আজকের দিন দিয়েই মূলত সেটা শুরু হয়ে গেল। প্রতিপক্ষকে কীভাবে সামলাবো বা আমরা আমাদের অ্যাটাকিং পস্ন্যান কীভাবে সাজাবো, সেটা নিয়েই আজ থেকে কাজ শুরু হলো।' যোগ করেন মামুন।
দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন বলেন, 'সকালে আমাদের জিম সেশন ছিল। এরপর টিম মিটিং ছিল। কীভাবে খেলতে হবে এবং কীভাবে টিম শেপ রাখতে হবে। খেলা শুরু হওয়ার আগে কোচ আমাদের সেটাই বলেছেন। আমরা মাঠে সেটা নিয়েই কাজ করেছি যে, কীভাবে আমরা টিম ডিফেন্ডিং করব এবং কীভাবে অ্যাটাকিং করব। এখানে অনুশীলন খুব ভালো হচ্ছে, মাঠেও ভালো কিছুই হবে ইনশালস্নাহ।'
বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের আবহাওয়ায় পার্থক্য আছে। তবে কুয়েতের আবহাওয়ার সঙ্গে রয়েছে বেশ মিল। রাকিব জানান, এই আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের দ্রম্নত মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দল, 'আমাদের সঙ্গে এখানকার আবহাওয়াতে একটু পার্থক্য আছে। ঠান্ডা বাতাস আছে। বাতাস একটু বেশি শীতল। অনেক সময় সমস্যা হয়। এখানে আমরা ১০-১২ দিন আছি। যদি এই কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলা অনেক সহজ হবে।'
রাকিব জানালেন, আক্রমণভাগের ফুটবলারদের নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করেন কোচ ক্যাবরেরা। যে কারণে বাংলাদেশের অ্যাটাকিং লাইনেও বেশ উন্নতি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাকিব বলেন, 'আমি চেষ্টা করি, নিজের ভুলগুলো শোধরানোর। শেষ ম্যাচে যে ভুল করি, কোচ সেটির ভিডিও বারবার দেখতে বলেন। কোচ আলাদাভাবে অনুশীলন করায়। কোন পজিশন থেকে গোল মিস করেছি, সেটার ভিডিও দেখেছি এবং যেসব পজিশনে গোল মিস করতাম, ওইসব পজিশনে রাখার চেষ্টা করছি। কোন পজিশনে কীভাবে খেলতে হবে, কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে গোল করতে হবে। কোচ আমাদের অ্যাটাকিং ফুটবলারদের নিয়ে অনেক কাজ করেন। যার কারণে সহজ হয়। আমরা কিন্তু আগে এ রকম ফুটবল খেলতাম না, বল পজিশন রেখে। কোচের নির্দেশনায় এখন আমরা বল পজিশনে রেখে ফুটবল খেলি। আগে আমরা এ রকমভাবে বল পেতাম না, যে কারণে অনেক কষ্ট হতো খেলতে। কিন্তু এখন আমরা অ্যাটাকিং লাইনে অনেক বল পাই। যে কারণে আমরা ভালো করছি এবং গোল করার চেষ্টাও করছি।'
ফরোয়ার্ড শাহরিয়ার ইমনের প্রত্যাশা, নিজের সেরাটা দিয়ে মূল দলে জায়গা করে নেওয়া, 'আলহামদুলিলস্নাহ আবারও কামব্যাক করেছি। এবার আশাটা অনেক বেশি। গত তিনবার সুযোগ পেয়েও খেলতে পারিনি। এবার অনেক স্বপ্ন নিয়ে, আশা নিয়ে এসেছি। যাতে এবার আগের থেকে ভালো করে দলে থাকতে পারি। গত বছর থেকে এবারের লিগে বেশি ভালো করার চেষ্টা করেছি। লক্ষ্য ছিল জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া। যার জন্য লিগে ভালো পারফরম্যান্স দরকার ছিল। ভালো করার চেষ্টা করেছি দলে থাকার জন্য।'