বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

নেপালে চলমান সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লেখাল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বিকালে কাঠমান্ডুর আনফা কমপেস্নক্সে ভারতকে (৩-১) গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে সাইফুল বারি টিটুর শিষ্যরা। শুরুতে গোল করে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ভারত সমতায় ফিরে ম্যাচ নিজেদের দিকে নেয়। তবে শেষ ১২ মিনিটে সাইফুল বারী টিটুর দল আবারও ঝলক দেখায়। আরও দুই গোল আদায় করে। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ফাইনাল ম্যাচটি হবে ১০ মার্চ। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভুটানের বিপক্ষে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

গ্রম্নপের শেষ ম্যাচে ৮ মার্চ ভুটানের বিপক্ষে পয়েন্ট হারালেও তাতে ফাইনাল নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না লাল-সবুজদের।

ম্যাচ শুরুর ৯ মিনিটে লাল-সবুজ দল এগিয়ে যায়, অনেকটা ভাগ্যপ্রসূত। আলপি আক্তারের দূরপালস্নার শট গোলকিপার সুরাজমুনি কুমারি লাফিয়ে উঠে বল ধরার চেষ্টা করলেও তা ছুটে গিয়ে জড়িয়ে যায় জালে (১-০) এক গোলে পিছিয়ে থেকে ভারত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। ১৮ মিনিটে ভারতের লংগাজাম নিরার শট গোলকিপার তালুবন্দি করেন।

বিরতির পরও ভারতের দাপট দেখাতে থাকে। ৫২ মিনিটে জটলা থেকে অর্পিতা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, বক্সের প্রান্ত থেকে সেতার রানির ডান পায়ের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৫৫ মিনিটে ভারত ঠিকই সমতায় ফেরে। ডান প্রান্তে প্রায় বাইলাইন থেকে আনুষ্কা কুমারির সরাসরি শট দূরের পোস্টের ভেতরে লেগে গোল হয় (১-১)। ৬৬ মিনিটে বাংলাদেশ আক্রমণে আসে। সেটপিস থেকে ভালো সুযোগ পায়। আলপির ফ্রি কিকে বক্সের ভেতরে একজনের হেড গোলকিপার কোনো মতে সেভ করেন। ৭১ মিনিটে ভারতের আনুষ্কার শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। বাংলাদেশ শেষ ১২ মিনিটে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে। ৭৮ মিনিটে দারুণ গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে গতিতে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে লাল-সবুজ দলের মুখে আবারও হাসি ফিরিয়ে আনেন (২-১)। ৮৯ মিনিটে বাংলাদেশ তৃতীয় গোল করে ভারতকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেয়। অনন্যা মুরমুর কর্নারে গোলকিপার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি, বল চলে আসে পেছনে। সেখানে অন্য ডিফেন্ডারদের মাঝ থেকে অর্পিতা বিশ্বাস আলতো শটে জাল কাঁপান (৩-১)। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই প্রীতিদের উলস্নাস শুরু।

ম্যাচ শেষে কোচ সাইফুল বারি টিটু বলেন,'আমরা যে রকম খেলি সাধারণত। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ওই খেলাটা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমার্ধে ধরে ধরে খেলাটা ছিল, ডিরেক্ট ফুটবলও ছিল। দু'টোই ছিল। ভারতে যদিও অভিজ্ঞ ফুটবলার আছে। কিন্তু আপনি যখন ভালো ডিফেন্ডিং করবেন তখন ভালো ফুটবলারও জায়গাটা খুঁজে বের করতে পারে না। যে কারণে ভারত প্রথমার্ধে তেমন কিছু করতে পারেনি। আমাদের ফুটবলারদের বলেছিলাম আমরা তো ভুটান না। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলব। ম্যাচের আগে বলেছিলাম এটা খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ম্যাচ হবে তাদের বুঝার জন্য। এখন ফাইনালে আমরা আরও বেশি অর্গানাইজড হয়ে খেলব।'

ফাইনালে উঠলেও এখনই অতি আত্মবিশ্বাসী হচ্ছেন না কোচ। শিষ্যদেরও সাবধান করেছেন, 'সেলিব্রেশনের সময়ই তাদের একসঙ্গে করে কথা বলেছি। যে আমরা ১৯ এর সময় এটা করেছি। কিন্তু এখনো ফাইনাল অনেক দূর। তোমরা চ্যাম্পিয়ন কিন্তু হওনাই। তাই তোমাদের যে পারফরম্যান্স সেটা কীভাবে আরও ভালো করা যায় সেদিকে নজর দাও। ফাইনালে আমরা কীভাবে জিততে পারি, তার আগে ভুটান ম্যাচ। তারপরও একটা জিনিস মনে রাখতে হবে তারা অনূর্ধ্ব ১৬। এত ছোট বাচ্চারা ফূর্তি করবে, আনন্দ করবে, তাতে ওদের বাধা দেওয়া উচিত না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে