ওয়েলিংটনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে রেকর্ড গড়ে জিততে হতো। সেটি হতে দেননি অজি অফস্পিনার নাথান লায়ন। শনিবার চতুর্থ দিন সকালে খেলতে নামা কিউইদের ইনিংসে ধস নামান তিনি। তার আঘাতের পর শেষ ৭ উইকেট পড়েছে মাত্র ৭০ রানে! তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৭২ রানে উড়িয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে (১-০)তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
শেষ ৭ উইকেটের ৪টিই নিয়েছেন অফস্পিনার লায়ন। ২৭ ওভারে ৬৫ রানে মোট ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পুরো ম্যাচে ১০৮ রানে নিয়েছেন ১০ উইকেট। অথচ রাচিন রবীন্দ্রর হাফসেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে ভালো কিছুর আশায় ছিল নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫৮ রান। কিন্তু দিনের সপ্তম ওভারে প্রতিরোধ গড়ে খেলতে থাকা রাচিনকে (৫৯) ফিরিয়েই ধসের সূচনা করেন লায়ন। রাচিন এদিন আর মাত্র ৩ রান যোগ করেছেন। একই ওভারের শেষ বলে টম বস্নান্ডেলকেও শূন্য রানে ফিরিয়ে কিউইদের চেপে ধরতে অবদান রাখেন তিনি।
এক ওভার বিরতি দিয়ে গেস্নন ফিলিপসকে (১) এলবিডাবিস্নউতে আউট করলে অজিদের জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। শেষ দিকে স্কট কুগলেইন (২৬) ও ম্যাট হেনরি (১৪) কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর চেষ্টা করে জয়টা বিলম্বিত করেছেন যদিও। তবে তাদের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি স্বাগতিকদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ১৯৬ রানেই গুটিয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৭৪ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে : ৩৮৩ (গ্রিন ১৭৪; হেনরি ৭০/৫) ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ (লায়ন ৪১; ফিলিপস ৪৫/৫)
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১৭৯ (ফিলিপস ৭১; লায়ন ৪৩/৪) ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ (রাচিন ৫৯;
লায়ন ৬/৬৫)
ফল :অস্ট্রেলিয়া ১৭২ রানে জয়ী।