সবুজ উইকেট আর চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে প্রথম দিনেই ক্যামেরন গ্রিন উপহার দিয়েছিলেন বীরোচিত এক সেঞ্চুরি। কিন্তু থামেননি সেখানেই। পরদিন সেটিকে রূপ দিলেন তিনি মহাকাব্যিক এক ইনিংসে। ব্যাটিংয়ের মাস্টারক্লাস মেলে শেষ জুটিতে জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে গড়লেন শতরানের রেকর্ড জুটি। এরপর অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ে ভেঙে পড়ল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
ওয়েলিংটন টেস্টে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনটি দেখেছে তিন ইনিংসের মুখ। উইকেটের পতন হয়েছে মোট ১৩টি। তবে দিন শেষে নিয়ন্ত্রণ এখন অনেকটাই অস্ট্রেলিয়ার হাতে। দুই ইনিংস মিলিয়ে তারা এগিয়ে আছে ২১৭ রানে। উইকেট আছে ৮টি। গ্রিনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থামে ৩৮৩ রানে। অথচ একসময় তাদের ২০০ ছোঁয়া নিয়েই ছিল শঙ্কা। তাদের এই ঘুরে দাঁড়ানোর নায়ক গ্রিন।
তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় গ্রিন-হ্যাজলউডের জুটি। ৩১.১ ওভার স্থায়ী এই গ্রিনের অবদান ১২৬ বলে ৮৮ রান। হ্যাজলউডের অবদান ২২ রান। তবে ৬২টি মূল্যবান বল মোকাবিলা করেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে এ নিয়ে ২৮ বার শেষ উইকেট জুটিতে একশ' কিংবা তার বেশি রান দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড করেছেন সর্বোচ্চ ছয়বার করে। শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটি ১৯৮ রানের। ২০১৪ সালে ট্রেন্টব্রিজে ভারতের বিপক্ষে এ জুটি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের জো রুট ও জেমস অ্যান্ডারসন।
অজিদের এই দুর্দান্তটির সমাপ্তি ঘটে হ্যাজলউডের বিদায়ে। ম্যাট হেনরির বলে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে দারুণ এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত পরাজিত থাকেন গ্রিন। ২৭৫ বলে করেছেন হার না মানা ১৭৪ রান। ২৩টি চার ও ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজান নিজের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৭০ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন হেনরি। এছাড়া ২টি উইকেট উইকেট পান উইলিয়াম ও'রোর্কে ও স্কট কুজ্ঞেলেইন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। এরপর টম বস্নান্ডেলের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন গেল ফিলিপ্স। তবে এ জুটি ভাঙতেই দ্রম্নত আরও একটি উইকেট হারায় তারা। এরপর হেনরির সঙ্গে ৪৮ রানের আরও একটি জুটি গড়েন ফিলিপ্স। তবে এরপর নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে ১৮ রানে শেষ চার উইকেট হারালে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন ফিলিপ্স। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ৭০ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি।