বিপিএলে নিজেদের নামের আগে 'দুর্দান্ত' শব্দটা বেছে নিয়েছিল রাজধানী ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু দুর্দান্ত ঢাকা নামের সুবিচার করতে পারেনি মোটেই। টানা ১১ হারের সুবাদে তাদের বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল সবার আগে। বিপিএলে টানা হারের লজ্জাজনক রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে ঢাকা। ঢাকার আসরটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতোই।
যদিও এতকিছুর মাঝে দুর্দান্ত ছিলেন ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম। ঢাকা নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলেছে ১৭ ফেব্রম্নয়ারি। সময়ের হিসেবে পার হয়েছে ১৩ দিন। লম্বা সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত সবার ওপরেই থাকছেন শরিফুল। বিপিএলের ফাইনালেও এমন কোনো বোলার ছিলেন না যিনি টপকে যেতে পারেন এই টাইগার পেসারকে।
বিপিএলের দশম আসরে শরিফুল পেয়েছেন ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট। মাত্র ১৫.৮৬ গড়ে উইকেট শিকার করেছেন। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৮ এর কম। সবমিলিয়ে ঢাকার পারফরম্যান্স মলিন হলেও নিজেকে ঠিকই ছাড়িয়ে গিয়েছেন টাইগার পেসের বড় ভরসা। এমনকি সেরা বোলিং ফিগারেও ওপরের দিকেই রয়েছে তার নাম।
শরিফুলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রংপুর রাইডার্সের সাকিব আল হাসান। বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিবের উইকেট ১৩ ম্যাচে ১৭টি। এছাড়া রংপুরের অফস্পিনার শেখ মেহেদি ১৬ আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বেলাল খানও ১৬টি করে উইকেট পেয়েছেন। তাদের কারো দল ফাইনালে ওঠেনি। তাই শীর্ষে উঠার কোনো সম্ভাবনাও ছিল না তাদের।
ফাইনাল খেলেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে শরিফুলের কাছাকাছি কেউ থাকতে পারেননি। তার চেয়ে ৮ উইকেট কম দখল করা ফরচুন বরিশাল পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনই একমাত্র বোলার যিনি ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকারি। সাইফউদ্দিন ফাইনালে ৯ উইকেট পেলেই কেবল শরিফুলকে পেছনে ফেলে সর্বাধিক উইকেট শিকারি হতে পারতেন। সেটা প্রায় অসম্ভবই ছিল বলা যায়। যেমন অসম্ভব প্রায় কুমিলস্না বাঁ-হাতি স্পিনার তানবির ইসলামেরও সর্বাধিক উইকেটশিকারি হওয়া। এই বাঁ-হাতি স্পিনারের উইকেট ছিল ১৩টি। ফাইনালে ১০ উইকেট দখল করলেই তানবির সবার ওপরে যেতে পারতেন। সেটাও প্রায় অসম্ভব ছিল। তার মানে শরিফুলই এবারের বিপিএলের সর্বাধিক উইকেট শিকারি।