চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ফাইনালের লড়াইয়ে বরিশাল

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এলিমিনেটর রাউন্ডে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে স্বল্প রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৩৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয়ে তামিমের দল পা রেখেছে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। মিরপুরে সোমবার টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালকে ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে সাত উইকেট এবং ৩১ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। বন্দরনগরীর দলটিকে উইকেটে সাত উড়িয়ে দিয়ে কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত করেছে বরিশাল। কাইল মেয়ার্স ঝোড়ো ফিফটির ইনিংস খেলে আউট হন। ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৪ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে বরিশালের সেরা বোলার কাইল মেয়ার্স। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার পরে ব্যাট হাতে উপহার দেন ৫ ছক্কায় ২৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস। ম্যাচের সেরা যে তিনিই, সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না! ৪৩ বলে ৫২ রানে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। টুর্নামেন্টের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে চারশ ছুঁয়ে বরিশাল অধিনায়কের রান ম্যাচ শেষে ৪৪২। চলতি বিপিএলে নানা সমীকরণের বেড়াজাল পেরিয়ে পেস্ন-অফ নিশ্চিত করেছিল ফরচুন বরিশাল। এলিমিনেটর পর্বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে তামিম-মিরাজ। শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। রান তাড়ার শুরুটা যদিও ছিল অস্বস্তিময়। মৌসুমে প্রথমবার ওপেন করার সুযোগ পেয়ে সৌম্য সরকার প্রথম ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দেন শুভাগত হোমকে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায়। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। এরপর তামিম ইকবালের সহজ ক্যাচ তালু বদ্ধ করতে ব্যর্থ হন সৈকত আলী। পরের বল থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম। বরিশাল অধিনায়কের ব্যাটিং তান্ডব দেখে ব্যাট চালাতে থাকেন কাইল মেয়ার্সও। শুভাগত হোমের এক ওভারে ২৬ রান তোলেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে পথে ছুটতে থাকে বরিশাল। ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন মেয়ার্স। পরের বলেই ক্যাচ আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর তামিমকে সঙ্গ দেন ডেভিড মিলার। ১৩ বলে ১৭ রান করে মিলার আউট হলেও ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন বরিশাল অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ৬ বলে ৫ রান এবং তামিম ইকবালের ৪ংু ৩১ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে শুভাগত হোম, বিলাল খান এবং রোমারিও শেফার্ড একটি করে উইকেট শিকার করেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৩ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। ১৩ বলে ৭ রান করে তামিমকে সঙ্গ দেন ইমরানুজ্জামান। পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন জশ ব্রাউন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডানহাতি ব্যাটার। ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ১১ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টম ব্রম্নস। এরপর সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ১৪ বলে ১১ রান করে সৈকত আউট হলে, ১৬ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শুভাগত। ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হন রোমারিও শেফার্ড। শেষ পর্যন্ত নিহাদুজ্জামানের ১৩ বলে ১০ রান এবং সালাউদ্দিন শাকিলের ১১ বলে ৮ রানের ইনিংসে ভর করে নয় উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। সংক্ষিপ্ত স্কোর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৩৫/৯ (ব্রাউন ৩৪, তানজিদ ২, ইমরানুজ্জামান ৭, ব্রম্নস ১৭, সৈকত ১১, শুভাগত ২৪, শেফার্ড ১১, নিহাদ ১০, সাকিল ৮*, আল আমিন ১, বিলাল ১*; মেয়ার্স ২/২৮, সাইফ ২/২৮, তাইজুল ১/২২, ম্যাককয় ২/২৯, বিলাল ১/২৬)। ফরচুন বরিশাল: ১৪.৫ ওভারে ১৩৬/৫ (তামিম ৫২*, সৌম্য ০, মেয়ার্স ৫০, মিলার ১৭, মুশফিক ৬*; শুভাগত ০/৪৫, আল আমিন ০/২০, বিলাল ১/৩০, শেফার্ড ১/১৭, সাকিল ০/১৭, নিহাদ ০/৫)। ফল: ফরচুন বরিশাল ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: কাইল মেয়ার্স।