বিপিএলের গত আসরে ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সেই দলটাই এবার প্রথম পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতে হেরেছে। দুই ম্যাচ হাতে থাকতেই ছিটকে গিয়েছিল পেস্ন-অফের দৌড় থেকেও। তবে এসব নিয়ে আক্ষেপ নেই সিলেটের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের। বরং জয় দিয়ে শেষ করায় খুশি তিনি।
প্রথম ৫ ম্যাচের সবগুলোতে হারার পর শেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। খুলনার সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। প্রথম ৫টি ম্যাচের মধ্যে ২টি ম্যাচে জিততে পারলেও পেস্ন-অফে খেলার আশা থাকত সিলেটের। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো অধিনায়কের আক্ষেপ লাগাটা বেশ স্বাভাবিক। তবে সিলেটের অধিনায়ক মিঠুন আক্ষেপ করছেন না। শেষদিকে জয়ের ধারায় ফিরতে পেরে খুশি তিনি।
শেষের এই কামব্যাকের পর আক্ষেপটা বেড়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন বলেন 'আসলে আফসোস বললে ভুল হবে কারণ আফসোস নেই। যেহেতু কামব্যাক করেছি খুব ভালোভাবে এজন্য আফসোস বলবো না, অবশ্যই খুশি। যেটা ভুল হয়ে গেছে এটা অনেক আগে ভুল হয়ে গেছে। তো ওইটা তো আমরা আর ফিরে পাব না। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে আমরা যেটা পেয়েছি সেটা নিয়ে অবশ্যই আমাদের খুশি থাকা উচিত।'
৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৫টিতেই দলকে জিতিয়েছেন মিঠুন। এমন সাফল্যের পর নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে মিঠুন বলেন, 'আমার জন্য খুব একটা কঠিন মনে হয়নি (অধিনায়কত্ব)। এর আগেও আমি বেশকিছু টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করেছি। নতুন কিছু মনে হয়নি। আমি চেষ্টা করেছি প্রত্যেক খেলোয়াড়কে একসঙ্গে রাখতে। তাদের সুবিধাজনক পরিবেশ দিতে চেষ্টা করেছি। এই সাধারণ বিষয়গুলোই। মাঠ পরিচালনা কোনো ম্যাজিক বা সায়েন্স নয়। শুধু প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে এবং সঠিক সময় সঠিক কাজ করলে আমার মনে হয় কাজটা সহজ হয়ে যায়।'
টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলে ব্যক্তিগত কারণে দলের ক্যাম্প ছেড়েছিলেন নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে মাঠে না খেললেও দলের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখেছিলেন ম্যাশ, এমনটাই জানিয়েছেন মিঠুন।
মিঠুন বলেন, 'আসলে মাশরাফি ভাইকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই চিনি। উনি খুব ভালো মোটিভেটর। উনি ড্রেসিংরুমে থাকলে আলাদা একটা মজা থাকে। দলে যখন ছিলেন না তখনো ঠিকই আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন, হোটেলে এসেছেন। উনি সবসময় আমাদের মধ্যেই ছিলেন। এমন না যে, মাঠে নেই বলে একদমই নেই।'
বিপিএলের পেস্ন-অফের দৌড় থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল আরও অনেক আগে। যে কারণে খুলনার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি তাদের জন্য হয়ে গিয়েছিল আনুষ্ঠানিকতার। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে সান্ত্বনার জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা। এ জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল সিলেট।