প্রতিভা হারিয়ে যেতে দেবেন না পাপন
প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়া ডেস্ক
ফুটবল, ক্রিকেটসহ নানা খেলায় বিদেশি কোচরা বাংলাদেশে এসে খেলোয়াড়দের মেধার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অনেক খেলায় মেধাবী খেলোয়াড় সংখ্যা অনেক। নানা কারণে মেধাবী খেলোয়াড়রা ঝরে পড়ে ক্রীড়াঙ্গন থেকে হারিয়ে যান। তবে কোনো ক্রীড়া প্রতিভাকেই আর হারিয়ে যেতে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) অডিটরিয়ামে বৃহস্পতিবার অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, 'কোনো প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায়। আমরা সর্বাত্মকভাবে সেই চেষ্টা করব। এখানে যারা এসেছে, তারা সবাই এই বয়সে স্ব স্ব খেলার মেধাবী। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রত্যেকের খোঁজই রাখব।'
এনএসসি ২০১০ সালে প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রম শুরু করে। যার অধীনে একেক বছর একেক খেলা এবং একেক জেলা থেকে প্রতিভা অন্বেষণ করা হয়। যদিও প্রাপ্ত প্রতিভাবানদের প্রকৃত তথ্য এবং পরবর্তী ফলোআপ সেভাবে থাকে না। এ বিষয়ে পাপন বেশ জোর দিয়েছেন, 'এখানে মাত্র তিন সপ্তাহের একটা প্রশিক্ষণ হয়েছে। এরপর যদি তাদের ধারাবাহিকতা না থাকে অথবা তারা কি করছে, সেটা খোঁজ না রাখতে পারি, তাহলে তো আর এই
কর্মসূচির সার্থকতা নেই। আমরা প্রতিভাবানদের ডাটাবেজ তৈরি করব।'
এবার ১১ ডিসিপিস্ননে ১৬৪ জন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ঢাকায় তিন সপ্তাহের অনুশীলন করেছে। প্রতি খেলায় পাঁচজন করে ক্রীড়াবিদকে সার্টিফিকেট প্রদানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনে সুপারিশপত্র দেবে এনএসসি। পাঁচজনের বাইরে যারা রয়েছে, তাদের নিরাশ না হওয়ার জন্য পাপন সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর উদাহরণ দিয়েছেন, 'কিছুদিন আগে বালিতে গিয়েছিলাম এসিসির সভায়। সেখান থেকে ফেরার পথে সিঙ্গাপুরে এক দিন ছিলাম। সেখানে একটা বিষয় শুনলাম। তাদের বর্তমান যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি। পরে তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন এবং এখন মন্ত্রী। সুতরাং, কোনো সময় ব্যর্থ হওয়া মানেই শেষ নয়। তোমরা পাঁচজনের বাইরে যারা রয়েছ, তাদেরও সম্ভাবনা আছে এবং তোমাদেরও খোঁজ রাখব আমি।'
ফুটবল, ক্রিকেট ও আরচ্যারির বাইরে অনেক ফেডারেশনের নিজস্ব কোচ নেই। আসলে বেতন দিয়ে কোচ রাখার সামর্থ্যও নেই তাদের। এক সময় এনএসসিতে নানা খেলায় ৪০ জনের বেশি কোচ থাকত। এখন সেটি কমতে কমতে দশের একটু বেশি। এনএসসি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে কোচদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধাও কম। এই প্রসঙ্গে নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, 'এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি কাজ করছি। কোন ফেডারেশনের কি সমস্যা। কাদের কোচ বা কি প্রয়োজন। সমস্যা চিহ্নিত অনেকটা শেষ পর্যায়ে। এক মাসের মধ্যে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।'
কাবাডি, জিমন্যাস্টিক্স, দাবা, ভারত্তোলন, সাইক্লিং, জুডো, ক্রিকেট, বক্সিংসহ আরও দু'টি খেলায় প্রতিভাবানরা তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৮টি থেকে প্রায় ৪৫০ জন প্রতিভাবান প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছিল এনএসসি। সেখান থেকে বাছাই করে ১৬৪ জন ঢাকায় চূড়ান্তভাবে তিন সপ্তাহের অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন। এই প্রকল্পে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৬৮ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এনএসসির পরিচালক ক্রীড়া শাহ হাবিবুর রহমান হাকিম বাজেট বৃদ্ধির দাবি জানান ক্রীড়ামন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিবকে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ আগামীতে বাজেট বৃদ্ধির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।