মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মার্শ-ডেভিড ঝড়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মার্শ-ডেভিড ঝড়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৫ রানের। শেষ ওভারে ১৬ রান। এমনকি শেষ বলে বলে বাউন্ডারি মারতেই হতো অস্ট্রেলিয়াকে। সব সমীকরণই দারুণভাবে মিলিয়ে দিলেন টিম ডেভিড। এর আগে ঝড়োব্যাটিংয়ে অজিদের ম্যাচে রাখেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। তাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়েলিংটনের স্কাই স্টেডিয়ামে বুধবার সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১৫ রান করে কিউইরা। জবাবে জয় তুলে নিতে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয় অজিদের।

এদিন ম্যাচের জয়ের মূল নায়ক অধিনায়ক মার্শ। ৪৪ বলে খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস। যেখানে ২টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মারেন তিনি। এর আগে বল হাতে ৩ ওভারে ২১ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন এই অলরাউন্ডার। তবে শেষ দিকে ডেভিডের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়েই জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় হার না মানা ৩১ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

তবে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিংয়ে নেমে এক প্রান্তে ঝড় তুলে ব্যক্তিগত ২৪ আউট হন ট্রাভিস হেড। এরপর মার্শের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ২০ বলে ৩২ রান করেন এই ওপেনার। এরপর গেস্নন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন মার্শ। যেখানে ১১ বলে ২৫ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।

এরপর জশ ইংলিসের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন মার্শ। যা তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ। যেখানে অধিনায়কের অবদান ১৮ বলে ৩৬ রান। তখনও ১৯ বলে ৪৪ রান প্রয়োজন ছিল অজিদের। পরের ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে অজিদের আরও চাপে ফেলে দেন লকি ফার্গুসন। এক পর্যায়ে ৯ বলে ৩২ রান দরকার হয় অস্ট্রেলিয়ার। যার সাতটি খেলেন ডেভিড। সেই সাত বলে ২৯ রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটার।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। তাতে পাওয়ার পেস্নতেই ১ উইকেটে ৬৮ রান তোলে দলটি। ১৭ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে মিচেল স্টার্কের শিকার হন ফিন অ্যালেন। তবে কিউইদের ইনিংসের ভিত দ্বিতীয় উইকেটে রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে গড়ে দেন ডেভন কনওয়ে। গড়েন ১১৩ রানের দারুণ এক জুটি। এরপর এ দুই ব্যাটার আউট হলেও দলের বড় পুঁজি নিশ্চিত করেন গেস্নন ফিলিপ্স ও মার্ক চাপম্যান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন রাচিন। ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজাতে ২টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন তিনি। ৬৩ রান করেন কনওয়ে। ৪৬ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন এই ওপেনার। এছাড়া ফিলিপ্স ১৯ ও চাপম্যান ১৮ রান করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে